বসে গিয়েছে মাটি। পরাশকোলে। নিজস্ব চিত্র
ফের ধসের ঘটনায় আতঙ্ক ছড়াল অণ্ডালের পরাশকোল গ্রামে। বহু বাড়িতে ফাটল দেখা দিয়েছে বলে দাবি। এই পরিস্থিতিতে গ্রামের বাসিন্দারা দ্রুত পুনর্বাসনের দাবি তুলেছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পরাশকোল গ্রামের সীমানায় ২০১১ সালে ইসিএলের পরিত্যক্ত খোলামুখ খনিতে ছাই, মাটি ভরাট করা হয়েছিল। ওই বছর ১৫ জুন ওই ভরাট করা জায়গায় বেড়াতে গিয়ে ছাইয়ের নীচে তলিয়ে গিয়ে মৃত্যু হয়েছিল তপন বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর দুই ছেলে, এক মেয়ের। সেই ভরাট করা জায়গায় সোমবার প্রায় ১০০ ফুট লম্বা ও ৫০ ফুট চওড়া এলাকা জুড়ে ধস নেমেছে। বেশ কয়েকটি জায়গায় ফাটল দেখা দিয়েছে। ওই ধসপ্রবণ এলাকা থেকে ২০ মিটার দূরে ঘরবাড়ি রয়েছে। সেখানে প্রায় ৫০টি বাড়িতে ফাটল দেখা দিয়েছে বলে দাবি। স্থানীয় বাসিন্দা শ্যামলী চট্টোপাধ্যায়, বাসুদেব মণ্ডল, পতিত মণ্ডলদের প্রতিক্রিয়া, ‘‘এখন বাড়িতে থাকা ভয়ের হয়ে গিয়েছে। দ্রুত পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে হবে।’’
তৃণমূল নেতা তথা স্থানীয় বাসিন্দা কাজল চট্টোপাধ্যায়ের অভিযোগ, ২০১১ সালের দুর্ঘটনার পরে, ইসিএল পুরো গ্রামটিকে পুনর্বাসনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। পরে কয়েকশো বাড়িতে ফাটল ধরলেও প্রতিকার মেলেনি। তিনি জানান, বাসিন্দারা একজোট হয়ে পুনর্বাসনের দাবিতে আন্দোলনে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তৃণমূল পরিচালিত স্থানীয় বহুলা পঞ্চায়েতের সদস্য সনমণি মেঝান ও তৃণমূল নেতা নৃপেন বাউরি বলেন, ‘‘অরাজনৈতিক ভাবে আন্দোলনে নামা হবে। ফের বড় কোনও দুর্ঘটনা ঘটলে, তার দায় ইসিএল কর্তৃপক্ষ এড়িয়ে যেতে পারবে না।’’ এ প্রসঙ্গে ইসিএলের সিএমডির কারিগরি সচিব নীলাদ্রি রায় বলেন, ‘‘পুনর্বাসনের বিষয়টি রাজ্য সরকার দেখছে। ধস আটকাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’