ফাইল চিত্র।
কয়লা কারবারি রাজু ঝা খুনে দুর্গাপুরের সিটি সেন্টারের দু’টি দোকানে তল্লাশি চালাতে সার্চ ওয়ারেন্টের জন্য আদালতে আবেদন জানালেন তদন্তকারী অফিসার। সার্চ ওয়ারেন্ট কেন প্রয়োজন, আদালতে তা ব্যাখ্যাও করেন সরকারি আইনজীবী। ঘটনায় ধৃত অভিজিৎ মণ্ডলের দুই আইনজীবী স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায় ও সুব্রত মুখোপাধ্যায় সার্চ ওয়ারেন্টের আবেদনের বিরোধিতা করেন। তাঁদের বক্তব্য, পুলিশ এমনিতেই তল্লাশি চালাতে পারে। এর জন্য সার্চ ওয়ারেন্টের প্রয়োজন নেই। দু’পক্ষের সওয়ার শুনে পুলিশকে আইন মোতাবেক কাজ করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন সিজেএম। নির্দেশে সিজেএম জানিয়েছেন, সিআরপিসির ১২ চ্যাপ্টার অনুযায়ী, পুলিশের তদন্তের অধিকার রয়েছে। সিআরপিসির ১৬৫ থেকে ১৬৬বি ধারা অনুযায়ী, তদন্তের প্রয়োজনে যে কোনও জায়গায় পুলিশ তল্লাশি চালাতে পারে।
রাজুকে খুনে অভিজিৎকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সিজেএম আদালত বুধবার ধৃতকে ১৪ দিন পুলিশি হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে। অভিজিৎ পশ্চিম বর্ধমানের রানিগঞ্জের এক ব্যবসায়ীর গাড়ির চালক। দাবি, বর্তমানে তিনিই ব্যবসায়ীর পুরো কারবারের দেখভাল করেন। হেফাজতে পাওয়ার পর সন্ধ্যায় তাঁকে নিয়ে সিটি সেন্টার এলাকায় দু’টি দোকানে তল্লাশি চালাতে যায় সিট। সেখানে গিয়ে দোকান তালাবন্ধ অবস্থায় দেখতে পান তদন্তকারীরা। চাবি না পেয়ে দু’টি দোকান সিল করে দেয় পুলিশ। ধৃতের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে দোকান দু’টিতে তল্লাশি চালানো প্রয়োজন বলে দাবি পুলিশের। সেখান থেকে রাজু খুনের ব্যাপারে কিছু তথ্য মিলতে পারে বলে তদন্তকারীদের অনুমান।