ঘুমপাড়ানি ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়েছিল ভালুকটিকে। তার পরেই উদ্ধারের সময় ডুবে মৃত্যু হল সেই প্রাণীর। ছবি: সংগৃহীত।
কুয়োয় পড়ে গিয়েছিল একটি ভালুক। নিজের চেষ্টায় সাঁতরে দিব্যি বেঁচেছিল। তাকে উদ্ধার করতে গিয়েই গোল পাকল। ঘুমপাড়ানি ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়েছিল ভালুকটিকে। তার পরেই উদ্ধারের সময় ডুবে মৃত্যু হল সেই প্রাণীর। কেরলের তিরুঅনন্তপুরমের কাছে ভেল্লানাডুর ঘটনা। ভালুকটিকে উদ্ধারের জন্য বন দফতর, দমকল বিভাগ, পুলিশ, পশু চিকিৎসা বিভাগ যৌথ অভিযানে নেমেছিল। স্থানীয়দের অভিযোগ, এই দফতরগুলির মধ্যে সমন্বয়ের অভাবের কারণেই মৃত্যু হয়েছে ভালুকটির।
বুধবার রাতে একটি বাড়ির মধ্যে থাকা কুয়োয় পড়ে যায় ভালুকটি। মনে করা হচ্ছে, খাঁচায় থাকা মুরগি ধরতে এসেছিল সে। ওই কুয়োর পাশেই ছিল মুরগির খাঁচা। খাঁচা থেকে মুরগি বার করতে গিয়ে কোনও ভাবে কুয়োয় পড়ে গিয়েছিল সে। বৃহস্পতিবার বাড়ির মালিক অদ্ভুত শব্দ শুনে কুয়োয় উঁকি দিয়ে দেখেন এই কাণ্ড। যদিও তখন ভালুকটি দিব্যি ভেসে ছিল কুয়োর জলে। তার কোনও চোট-আঘাতও লাগেনি। এর পর উদ্ধারের সময় গোল বাধে। বন দফতরের কর্মীরা ভালুকটিকে টেনে তুলতে পারছিলেন না। তখনই পশু চিকিৎসক ঘুমপাড়ানি ইঞ্জেকশন ছোড়েন। প্রথম বার তা ভালুকের গায়ে লাগেন। দ্বিতীয় বার তা লাগে। এর ফলে ভালুকটি ঘুমিয়ে পড়ে।
এর পর জালে বেঁধে ভালুকটি তোলার সময় সেটি জলে পড়ে যায়। এর পর বন দফতরের কর্মীরা কুয়োয় নামলেও লাভ হয়নি। ভালুকটি জ্ঞান হারিয়ে তলিয়ে যায় জলে। বন দফতরের কর্মীরা বুঝতে পারেন, তাঁদের পরিকল্পনা ভুল ছিল। তখন কুয়ো থেকে জল ছেঁচে তুলতে শুরু করেন তাঁরা। এর পর উদ্ধারের জন্য আরও একটি দল হাজির হয়। তারা কুয়োয় নেমে ভালুকটিকে উদ্ধার করে। তখনও তার শ্বাস চলছিল। কিন্তু উদ্ধারের পরেই সে মারা যায়। এই নিয়ে বন কর্মীদের দিকে আঙুল তুলেছেন স্থানীয়রা।