এই বাড়ি থেকেই উদ্ধার হয় পঁচাগলা দেহ। —নিজস্ব চিত্র।
রবিনসন স্ট্রিটের ছায়া এ বার পূর্ব বর্ধমানে। বেশ কয়েকদিন ধরে দিদির পচাগলা দেহ আঁকড়ে ছিলেন বোন। এমনকি দিদির মৃতদেহ নিয়ে একই বিছানায় রাত্রিযাপন করেছেন তিনি । পূর্ব বর্ধমানের মেমারি থানার কৃষ্ণবাজার কলেজমোড় এলাকায় একটি বাড়ি থেকে প্রচণ্ড দুর্গন্ধ বেরোতে থাকে। এই গন্ধ পেয়ে এলাকাবাসী খবর দেন পুলিশকে। পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদনন্তের জন্য পাঠিয়েছে। পাশাপাশি মৃতার বোনেরও চিকিৎসা করতে পাঠিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে মৃতার নাম সুপ্তিকণা কোলে (৬১)। মেমারির কৃষ্ণবাজার কলেজমোড় এলাকায় একটি ভগ্নপ্রায় দোতলা বাড়িতে তাঁর সঙ্গে থাকতেন তাঁর বোন মুক্তিকণা কোলে। বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া দু’জনেই ঘর থেকে বেরোতেন না। এমনকি প্রতিবেশীদের সঙ্গে সম্পর্কও ভাল ছিল না। বেশ কয়েকদিন ধরে ঘর থেকে কেউ বার হচ্ছিলেন না। এর মধ্যেই ওই বাড়ি থেকে প্রচণ্ড দুর্গন্ধ বের হতে শুরু করে। সন্দেহ হওয়ায় প্রতিবেশীরা খবর দেন পুলিশ। পুলিশ বাড়ি থেকে পচাগলা মৃতদেহ উদ্ধার করে।
প্রতিবেশী শুভম ঘোষ বলেন, ‘‘ ভগ্নপ্রায় দোতালা বাড়িতে দুই বোন থাকতেন। বাড়িতে আর কারও আসা যাওয়া ছিল না। বাড়িতে কাউকে প্রবেশেরও অনুমতি দিতেন না তাঁরা। বাড়িতে ইলেকট্রিক বা জলের লাইন কিছুই ছিল না। মোমবাতির আলোয় রাত্রিযাপন করতেন তাঁরা।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘সারাবছরই বাড়ির সমস্ত জানালা বন্ধ করা থাকত। শুধুমাত্র পানীয় জল ও খাবার নেওয়ার জন্য মাঝেমধ্যে নীচে নামতেন বোন মুক্তিকণা।’’ তাও দিন চারেক ধরে বন্ধ ছিল বলে তিনি জানিয়েছেন।