শ্যামলের ফুচকার দোকান
মূল্যবৃদ্ধির বাড়বাড়ন্তের মধ্যেও দোকানের দশ টাকায় চিকেন বিরিয়ানি বিক্রি করে নেটমাধ্যমে হইচই ফেলে দিয়েছিলেন শ্যামল দেবনাথ। এ বার তাঁর দোকানের নতুন চমক ২০ টাকার ভরপেট ফুচকা। শুধু তাই নয়, শর্তপূরণে থাকছে পুরস্কারপ্রাপ্তির সুযোগও। পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ার পানুহাট রাজমহিষী দেবী উচ্চবিদ্যালয়ের পাশ দিয়ে গেলে সর্বদাই ভিড় চোখে পড়ে শ্যামলের ওই গুমটি দোকানে। কেউ আসেন ১০-২০ টাকার চিকেন বিরিয়ানি খেতে, কেউ আসেন আবার ৫ টাকার এক প্লেট চাউমিন বা পাস্তা খেতে। দোকানে ফুচকার নতুন ‘অফার’ আসার পর থেকে এখন অবশ্য বিকেলে দিকে কচিকাঁচাদেরই ভিড় বেশি থাকে। থাকবে না-ই বা কেন! বাচ্চারা ১৫টি ফুচকা থেকে পারলেই তাদের হাতে ম্যাঙ্গো ফ্রুটি তুলে দিচ্ছেন শ্যামল। শুধু খুদেরাই নয়, বড়দের জন্য থাকছে লোভনীয় ‘অফার’। কেউ ১৫০টি ফুচকা খেতে পারলে তাঁদের পুরস্কার হিসাবে দেওয়া হচ্ছে ৫০১ টাকা। যাঁরা ৫০টি বা ১০০টি ফুচকা খাবেন, তাঁদের জন্যও থাকে কিছু না কিছু।
শ্যামল পানুহাট ইন্দারা পাড়ার বাসিন্দা। মা, স্ত্রী ও এক ছেলে নিয়ে তাঁর সংসার। দীর্ঘ ২৬ বছর ধরে রাজমহিষী দেবী স্কুলের সামনের গুমটিতে চাট, ঘুগনি, বারোভাজা বিক্রি করে সংসার চালাচ্ছেন শ্যামল। করোনাকালে সাধারণ মানুষের পকেটে টান দেখেই ১০-২০ টাকার চিকেন বিরিয়ানি বা ২০ টাকার ভরপেট ফুচকা বিক্রির কথা মাথায় আসে তাঁর। শ্যামল বলছেন, ‘‘কেউ যদি পুরস্কার না-ও জিততে পারেন, তা হলেও তাঁর জন্য থাকছে ২০ টাকায় যত খুশি ফুচকা খাওয়ার সুযোগ।’’ তাঁর এখন একটাই ইচ্ছে, ‘দাদাগিরি’র মঞ্চে গিয়ে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করা। শ্যামলের কথায়, ‘‘কম দামে খাবার বিক্রির পিছনে আরও একটা কারণ আছে। দাদাগিরিতে গিয়ে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় সঙ্গে দেখা করতে চাই।’’
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।