পানাগড়ে এমনই হাল অঙ্গনওয়াড়ির। নিজস্ব চিত্র।
বেহাল হয়ে পড়া কাঁকসার পানাগড় বাজার হিন্দি স্কুল সংলগ্ন ১৯ নম্বর অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রটির সংস্কার দাবি করেছেন কর্মীরা। পানাগড় বাজারে হিন্দি স্কুল কমিউনিটি সেন্টারের পাশে ওই কেন্দ্র ৩০ জন শিশু ও দশ জন গর্ভবতী মহিলার রান্না হয়। শিশুদের প্রাথমিক শিক্ষাও দেওয়া হয়। কেন্দ্রের কর্মীরা জানান, ভবনটির বাইরের অংশে ফাটল ধরেছে। ভিতরের দেওয়াল স্যাঁতসেতে। কেন্দ্রের কর্মী কীর্তি চট্টোপাধ্যায় রায় জানান, ভবনের চার দিকে ফাটলের চিহ্ন স্পষ্ট। বৃষ্টি হলেই ছাদ চুঁইয়ে জল পড়ে। নীচে বসার জায়গা থাকে না। অনেক সময় কাপড় দিয়ে জল শুকিয়ে শিশুদের নিয়ে বসতে হয়। কেন্দ্রে জল ও বিদ্যুতের ব্যবস্থা নেই। অনেক অভিভাবকই বাচ্চাদের কেন্দ্রে পাঠাতে চাইছেন না। ভবন সংস্কারের দাবি জানানো হয়েছিল কাঁকসা পঞ্চায়েতে। কিন্তু কাজ হয়নি।
কেন্দ্রের এক শিশুর অভিভাবক রেখা যাদব বলেন, ‘‘ভবন যে কোনও সময় ভেঙে পড়তে পারে। ভয়ে শিশুকে কেন্দ্রে পাঠাই না।’’ আর এক অভিভাবক সালমা বিবি বলেন, ‘‘কেন্দ্রে জলের সমস্যা রয়েছে। বাইরে থেকে জল এনে রান্না হয়।’’
কাঁকসা পঞ্চায়েতের বিরোধী দলনেতা, বিজেপির আনন্দ কুমারের অভিযোগ, ওই এলাকায় বিজেপি জেতায় তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েত উন্নয়নের কাজ করছে না। কেন্দ্রটির সংস্কারে উদ্যোগী নয় তারা। পঞ্চায়েতের উপপ্রধান, তৃণমূলের উজ্জ্বল মল্লিকের দাবি, ‘‘ওই এলাকার পঞ্চায়েত সদস্য বিষয়টি পঞ্চায়েতকে জানাননি। দ্রুত কেন্দ্রটি সংস্কারে উদ্যোগী হব।’’