বন্ধ পড়ে রয়েছে গলসির এই স্কুলটিই । নিজস্ব চিত্র
চালুর পর থেকে স্কুলে স্থায়ী শিক্ষক ছিলেন না। ছিলেন মাত্র এক জন অতিথি শিক্ষক। তাঁর বয়সও ৬৫ পেরিয়েছে। নিয়মের গেরোয় এখন আর পড়াতে পারেন না তিনি। অগত্যা বন্ধ হয়ে গিয়েছে গলসি ২ ব্লকের আদড়া পঞ্চায়েতের মহড়া গার্লস জুনিয়র হাইস্কুল। লক্ষ-লক্ষ টাকা খরচে তৈরি স্কুলভবনে এখন তালা ঝুলছে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, ২০১৬ সালে মহড়া গ্রামে গড়ে ওঠা স্কুলে পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ানো হত। প্রদীপ দিক্ষিত নামে অবসর প্রাপ্ত এক শিক্ষক পড়াতেন সেখানে। কম-বেশি ৪০ জন পড়ুয়া নিয়ে চালু হয়েছিল স্কুলটি। সেখানে পড়তে আসত মহড়া, খানহাটি, বাকতা, মল্লিকপুরের ছাত্রীরা। গত সেপ্টেম্বরে প্রদীপবাবুর বয়স ৬৫ পেরিয়েছে। তার পরে, নতুন কোনও শিক্ষক নিয়োগ না হওয়ায় স্কুলটি বন্ধ রয়েছে। স্থানীয়দের আক্ষেপ, চালুর পরে স্কুলে শিক্ষক নিয়োগ হয়নি। পড়ুয়ার সংখ্যা কমতে কমতে এ বছর চারে নেমে আসে।
স্থানীয় বাসিন্দা সমীর রায় বলেন, “এখানে মেয়েদের পড়ার আলাদা স্কুল নেই। সে কারণেই এই স্কুলে পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তি করিয়েছিলাম মেয়েকে।” স্থানীয় বাসিন্দা কার্তিক বাগদি, স্বর্ণ মেটেদের দাবি, “এলাকার মেয়েদের কথা ভেবে স্কুলটি চালু করা হোক।” গলসি ২ পঞ্চায়েত সমিতির দাবি, তাদের উদ্যোগে ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে ‘এমএসডিপি’ প্রকল্পে স্কুলে অতিরিক্ত শ্রেণিকক্ষ নির্মাণ করা হয়। শনিবার স্কুলে গিয়ে দেখা গেল, শ্রেণিকক্ষগুলিতে তালা ঝুলছে। স্কুলে সপ্তম শ্রেণিতে পড়ত দিয়া বগদি। পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী ছিল ইন্দ্রা রায়। তাদের কথায়, “ঘরের পাশে স্কুল হওয়ায় সুবিধা হয়েছিল। স্কুল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এখন অন্য স্কুলে যাচ্ছি। পুরনো স্কুলকে ভুলতে পারছি না। আমরা চাই, ফের আমাদের স্কুল চালু হোক।”
অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক (গলসি পশ্চিম চক্র) দেবকুমার ভক্ত বলেন, “শিক্ষক না থাকায় স্কুল আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে।” বিডিও (গলসি ২) সঞ্জীব সেন বলেন, “স্কুল চালুর জন্য অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকের খোঁজ চলছে। খুব শীঘ্রই স্কুল চালু হবে।”