Satabdi Roy

গরু পাচার মামলায় কেষ্টর নামে সিবিআইয়ের চার্জশিটে সাক্ষী হিসাবে নাম শতাব্দী রায়ের

সূত্রের খবর, চার্জশিটে যে ৯৫ জন সাক্ষীর নাম রয়েছে, তার মধ্যে ৪৬ নম্বরে রয়েছে শতাব্দীর নাম। এ ছাড়াও ব্যাঙ্কের ম্যানেজার, কর্মীদের নামও চার্জশিটে সাক্ষী হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আসানসোল শেষ আপডেট: ১০ অক্টোবর ২০২২ ১০:১৮
Share:

অনুব্রত ও শতাব্দী। ফাইল চিত্র।

গরু পাচার মামলায় বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের নামে সিবিআইয়ের চার্জশিটে সাক্ষী হিসাবে নাম রয়েছে বীরভূমের তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়ের। সূত্র মারফত এমন তথ্যই জানা গিয়েছে। শতাব্দীর পাশাপাশি সাক্ষী হিসাবে ব্যাঙ্ক ম্যানেজার, অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার ও কর্মীদের নামও রয়েছে। গত শুক্রবার আসানসোল আদালতে অনুব্রতের নামে ৩৫ পাতার চার্জশিট জমা দিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

Advertisement

সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, চার্জশিটে সাক্ষী হিসাবে যে ৯৫ জনের নাম রয়েছে, তার মধ্যে ৪৬ নম্বরে রয়েছে শতাব্দীর নাম। ১৬০ নং ধারায় শতাব্দীকে নোটিস পাঠানো হয়েছিল। ১৬১ নং ধারায় তৃণমূল সাংসদের বয়ান রেকর্ড করা হয়। তার পরই চার্জশিটে সাক্ষী হিসাবে শতাব্দীর নাম রেখেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এ ব্যাপারে শতাব্দীর সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছিল আনন্দবাজার অনলাইন। কিন্তু এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তাঁর প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

প্রসঙ্গত, শতাব্দীর সঙ্গে অনুব্রতের ‘অম্লমধুর’ সম্পর্কের কথা সর্বজনবিদিত। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে শতাব্দীর তৃণমূল ত্যাগের জল্পনা ছড়িয়েছিল। কারণ হিসাবে তখন তৃণমূলের একাংশের ব্যাখ্যায় নাম ছিল অনুব্রতের। তবে কেষ্টর গ্রেফতারির পর তাঁর পাশেই দাঁড়ান বীরভূমের সাংসদ। খয়রাশোলে তৃণমূলের এক সভায় শতাব্দী বলেছিলেন, ‘‘আমাদের অনুব্রত মণ্ডলের পাশে থাকতে হবে, বোঝাতে হবে আমরা অকৃতজ্ঞ নই। আপনারা যখন অনুব্রত মণ্ডলকে পাশে পেয়েছেন, সহযোগিতা পেয়েছেন, তখন আপনাদেরও তাঁর পাশে থাকতে হবে।’’ এ বার সিবিআইয়ের চার্জশিটে সাক্ষী হিসাবে রয়েছে সেই শতাব্দীরই নাম।

Advertisement

অনুব্রতের নামে চার্জশিটে সাক্ষী হিসাবে নাম রয়েছে ব্যাঙ্ক ম্যানেজার, কর্মীদেরও। এই মামলার তদন্তে টাকা লেনদেনের তথ্য হাতে পেয়েছেন বলে দাবি করেছেন তদন্তকারীরা। চার্জশিটে ১৮ কোটি টাকার ফিক্সড ডিপোজিটের (স্থায়ী আমানত) কথা উল্লেখ করা হয়েছে। ওই ফিক্সড ডিপোজিট অনুব্রতের পরিবারের বলে দাবি করেছে সিবিআই। ব্যাঙ্কে লেনদেন সংক্রান্ত তথ্যে সিজার লিস্টে যে সকল ব্যাঙ্ক ম্যানেজার ও কর্মী সই করেছিলেন, তাঁদের নাম সাক্ষী হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে।

মলয় পীঠ নামে এক ব্যক্তিরও সাক্ষী হিসাবে নাম রয়েছে। সূত্রের খবর, দেশের একাধিক কলেজে গরু পাচারের টাকা লেনদেন হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। সেই কলেজগুলির সঙ্গে মলয় পীঠ নামে এক ব্যক্তির যোগসূত্র পাওয়া গিয়েছে। তাঁকেও সাক্ষী হিসাবে উল্লেখ করেছে সিবিআই।

১৮ কোটি টাকার ফিক্সড ডিপোজিট ছাড়াও অনুব্রতের নামে চার্জশিটে ৫৩টি দলিলের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। পাশাপাশি প্রায় ২৫টি বেনামি দলিলের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সূত্রের খবর, এই বিপুল সম্পত্তি রয়েছে অনুব্রতের পরিবারের। অনুব্রতের নামে চার্জশিটে চালকলের কথাও উল্লেখ করা হয়েছে। বলা হয়েছে তিনটি চালকলের কথা। চালকলগুলির নামে বিভিন্ন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের তথ্যও তুলে ধরা হয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement