অভিযোগ, এ পথেই চলে বালিবোঝাই ট্রাক্টর। নিজস্ব চিত্র
খড়ি নদীতে আউশগ্রাম ১-এর বিল্বগ্রামের তকিপুরের মরাঘাটের কাছ থেকে বালি কেটে পাচার করা হচ্ছে। এই অভিযোগে পেয়ে শনিবার বিকেলে এলাকায় গিয়েছিলেন ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিক (আউশগ্রাম ১) সব্যসাচী দাস। গিয়েছিল গুসকরা ফাঁড়ির পুলিশও।
নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক বাসিন্দাদের আরও অভিযোগ, অবৈধ ভাবে তোলা বালি ট্রাক্টরে করে নিয়ে যাওয়ার জন্য এলাকাবাসীর জমির কাঁচা ধান কেটে অস্থায়ী রাস্তাও তৈরি করা হয়েছে! এর ফলে, তাঁদের ক্ষতি হচ্ছে। অভিযোগ, পাচারকারীদের বিষয়টি বলেও লাভ হয়নি। পাশাপাশি, ট্রাক্টর চলাচলের ফলে কোথাও খেতের মাটি শক্ত হয়ে গিয়েছে, কোথাও খাল তৈরি হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে রবি ফসলের চাষ করা সমস্যার হবে বলে দাবি স্থানীয় চাষি বাবুরাম গড়াইয়ের।
আরও অভিযোগ, অবৈজ্ঞানিক ভাবে বালি কাটায় নদী-খাত তৈরি হচ্ছে। ভাঙছে পাড়। এমনকি, তকিপুরের কিছু জমি ইতিমধ্যে খড়িতে তলিয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ। বিষয়টি নিয়ে বিল্বগ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান টুম্পা মেটে বলেন, ‘‘অভিযোগ পেয়ে তা ব্লক প্রশাসনের নজরে আনা হচ্ছে। ট্রাক্টরে করে মাটি নিয়ে যাওয়ায় কাঁচা ও ঢালাই রাস্তার ক্ষতি হচ্ছে। রাস্তা ভাঙছে। এ ভাবে নদী থেকে বালি, মাটি তোলাও বেআইনি।’’ বিষয়টি নিয়ে সব্যসাচীবাবুর দাবি, ‘‘বিডিও-র থেকে বিষয়টি শুনে এলাকায় গিয়েছিলাম। তবে সেই সময়ে বালি তোলা হয়নি। তবে ওখানে বালি তোলা যে হচ্ছিল, তা বোঝা গিয়েছে। সোমবার এলাকায় গিয়ে ফের কারা এই কারবারের সঙ্গে যুক্ত, তা খোঁজ নেওয়া হবে।’’ বিডিও (আউশগ্রাম ১) চিত্তজিৎ বসু বলেন, ‘‘অভিযোগ পেয়ে বিএলএলআরও সরেজমিনে তদন্ত করে রিপোর্ট দেবেন। রিপোর্ট পেলে উপযুক্ত পদক্ষেপ করা হবে।’’
প্রধানের দাবি, এর আগে কয়রাপুর এলাকায় খড়ি থেকে মাটি কেটে পাচার করা হচ্ছিল। সেই সময়ে তা বন্ধ হয়ে যায়। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার বিল্বগ্রাম পঞ্চায়েত এলাকারই আসিন্দার কাছে একটি ঘাটে বালি তোলার চেষ্টা রুখে দেওয়ায় পাচারকারীদের সঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের বচসাও হয়েছে।