Pradhan Mantri Awas Yojana

Pradhan Mantri Awas Yojana: নাম বিভ্রাটে আবাস যোজনার টাকা জীবিতের বদলে পড়ল মৃতের অ্যাকাউন্টে!

যোজনার টাকার জন্য দু’জনেই আবেদন করেছিলেন। কিন্তু কিছু দিন আগে দেখা যায় মৃতের প্রাপ্য টাকা ঢুকেছে জীবিতের অ্যাকাউন্টে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৩ জুলাই ২০২২ ০২:১৬
Share:

ফাইল চিত্র।

আবাস যোজনার টাকা নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে অশান্তি চরমে। ওই যোজনায় টাকা পেতে আবেদন করেছিলেন পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোট ব্লকের সিঙ্গত গ্রামের দাসপাড়ার দুই বাসিন্দা। ঘটনাচক্রে দু’জনেরই নাম হারাধন দাস। আবেদন করা আর টাকা পাওয়ার মাঝে মারা গিয়েছেন এক হারাধন। সেই মৃত হারাধনের টাকা এসে ঢুকল জীবিত হারাধনের অ্যাকাউন্টে! টাকা ফেরত চেয়ে জীবিত হারাধনের বাড়ি চড়াও হয়েছে মৃতের পরিবার। সমস্যার সমধান করতে গিয়ে নাজেহাল অবস্থা প্রশাসনের।

Advertisement

দাসপাড়ার দুই হারাধনের পরিবারই আবাস যোজনায় টাকা পাওয়ার জন্য আবেদন করেছিলেন। তালিকা প্রকাশ হলে দেখা যায় দু’জনের নামই তালিকায় উঠেছে। গত জানুয়ারি মাসে এক হারাধন বার্ধক্যজনিত কারণে মারা যান। তার ঠিক কয়েক দিন পর জীবিত হারাধন দাসের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে আবাস যোজনার প্রথম কিস্তির ৬০ হাজার টাকা ঢোকে। কিন্তু মৃত হারাধন কোনও টাকা পায়নি।

বিযয়টি জানাতে পরে পঞ্চায়েতের দ্বারস্থ হন মৃত হারাধনের ছেলে দীনবন্ধু দাস। তাঁর কথায়, ‘‘আবাস যোজনার টাকা ঢুকেছে কি না তা জানতে পঞ্চায়েত অফিসে যাই। সেখান থেকে বলা হয় আমার বাবার অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকে গিয়েছে। কিন্তু ব্যাঙ্কে গিয়ে জানতে পারি টাকা ঢুকেছে প্রতিবেশী হারাধন দাসের অ্যাকাউন্টে।’’

Advertisement

এর পর দীনবন্ধু যোগযোগ করেন মৃত হারাধনের পরিবারের সঙ্গে। তাঁদের কাছে টাকা ফেরত চান। কিন্তু টাকা দিতে অস্বীকার করেন তাঁরা।

জীবিত হারাধনের ছেলে পরেশ দাসের দাবি, ‘‘অনুদান পেতে দেরি হওয়ায় আমরা ‘দিদিকে বলো’য় ফোন করেছিলাম। তার কয়েক দিন পর আমার বাবার অ্যাকাউন্টে টাকা ঢোকে। কিন্তু টাকা তুলতে গেলে ব্যাঙ্ক থেকে বলা হয়, পঞ্চায়েত থেকে এই টাকা আটকে রাখার জন্য বলা হয়েছে।’’ তাঁর প্রশ্ন, ‘‘বাবার আবেদনের ভিত্তিতে যে টাকা দেওয়া হয়েছে, তা কেন আমাদের দেওয়া হবে না।’’

এই পরিস্থিতিতে জীবিত হারাধনের পরিবারকে বুঝিয়ে টাকা আসল প্রাপকের হাতে তুলে দেওয়া রীতিমতো চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে পঞ্চায়েতের কাছে। মঙ্গলকোটের বিডিও জগদীশচন্দ্র বারুই বলেন, “নামবিভ্রাটে ও নথি সংক্রান্ত ভুলের জন্য এই সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। প্রকৃত উপভোক্তাকে অনুদানের টাকা হস্তান্তরের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।’’

পঞ্চায়েতের আবাস যোজনার দায়িত্বে থাকা নাজমুল হুদা বলেন, “দুই উপভোক্তার নাম ও ঠিকানা এক হওয়ার কারণে পঞ্চায়েতের ভুল হয়ে গিয়েছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement