পূর্বস্থলীর কাষ্ঠশালীতে গিয়ে এই চেয়ারেই বসেছিলেন নেতাজি।
৮৮ বছর আগে পূর্বস্থলীর কাষ্ঠশালী এলাকায় সভা করতে এসেছিলেন সুভাষচন্দ্র বসু। সভার আগে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়েছিলেন স্থানীয় রায়বাড়িতে। ওই পরিবারের দাবি, ‘নেতাজি’ সে দিন যে চেয়ারে বসেছিলেন, তা এখনও রাখা রয়েছে। প্রতি বছর তাঁর জন্মদিনে সেখানে ছবি রেখে শ্রদ্ধা জানান তাঁরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দুই স্বাধীনতা সংগ্রামী সুরেশ রায় ও রমেশ রায় ছিলেন বৈদিকপাড়ার বাসিন্দা। ১৯৩২ সালে তাঁদের ডাকেই জলপথে ওই এলাকায় সভা করতে গিয়েছিলেন সুভাষচন্দ্র। রায়বাড়িতেও গিয়েছিলেন। ওই পরিবারের দাবি, ওই দিন তাঁকে বসার জন্য সেগুন কাঠের চেয়ার দেওয়া হয়েছিল। এখনও বছরভর কাচের আলমারিতে সেটি তুলে রাখেন তাঁরা। ২৩ জানুয়ারি বার করা হয় সেটি। রায় পরিবারের বর্তমান সদস্য তপন রায় বলেন, ‘‘বাবা সুরেশ রায় এবং জ্যাঠামশায় রমেশ রায় ওই দিন নেতাজিকে বাড়িতে নিয়ে এসেছিলেন। ওই চেয়ারে বসে চা, শিঙাড়া খান তিনি। বাড়িতেই শিঙাড়া তৈরি করেছিলেন জেঠিমা।’’ পরে শ্যামসুন্দরতলায় সভা করেন তিনি। গিয়েছিলেন মেড়তলাতেও।
এলাকার বাসিন্দারা জানান, প্রতি বছরই সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মদিনে নানা অনুষ্ঠান হয়। অনুষ্ঠানে হাজির প্রত্যেককে খাওয়ানো হয় চা, শিঙাড়া। তবে গত কয়েক বছরে সে রেওয়াজ বদলেছে। পূর্বস্থলী ২ পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি তপন চট্টোপাধ্যায় জানান, নেতাজি যেখানে জনসভা করেছিলেন সেখানে এলাকার মানুষের উদ্যোগে একটি মূর্তি বসানো হয়েছে। আজ, বৃহস্পতিবার মূর্তিটি উন্মোচন করার কথা রাজ্যের প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথের। রায়বাড়িতে রাখা চেয়ারেও মালা দেবেন তিনি। মন্ত্রী জানান, শুধু পূর্বস্থলী নয়, কালনার জ্ঞানানন্দ মঠেও নেতাজির স্মৃতি রয়েছে। ওই আশ্রমে দু’দিন কাটিয়েছিলেন তিনি।