ফাইল চিত্র।
ভর দুপুরে দুঃসাহসিক ডাকাতির ঘটনা ঘটল আসানসোলে। বেসরকারি স্বর্ণ ঋণ সংস্থার শাখায় অতর্কিতে ঢুকে কর্মীদের হাত, পা বেঁধে গান পয়েন্টে নিয়ে ১২ কেজি সোনার গয়না ও নগদ ১০ লক্ষ টাকা লুঠ করে চম্পট দিল চার ডাকাত। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে আসানসোল শহরে। আতঙ্ক ছড়িয়েছে ব্যবসায়ীদের মধ্যে। তদন্তে নেমেছে আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের গোয়েন্দা বিভাগ, আসানসোল দক্ষিণ থানা ও সিআইডি।
শনিবার দুপুরে আসানসোল দক্ষিণ থানা থেকে কিছুটা দূরে জিটি রোডের উপর মুথুট ফিনকর্প সংস্থার একটি শাখায় ডাকাতির ঘটনাটি ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, চার ডাকাতের মুখেই মাস্ক ছিল। হিন্দিতে কথা বলছিল প্রত্যেকে। সংস্থার অফিসে ঢুকে নিরাপত্তীকর্মীকে ধাক্কা দেওয়া থেকে শুরু করে তারা যা যা করেছে, সবই ধরা পড়েছে সিসিটিভি ক্যামেরায়। নিরাপত্তারক্ষী অনিল কুমার পাণ্ডে বলেন, ‘‘দুপুর দু’টো নাগাদ সোনার গয়না দেখিয়ে ঋণ নেওয়ার নাম করে এক যুবক ভেতরে ঢোকে। যখন গেট বন্ধ করতে যাচ্ছিলাম, ঠিক সেই সময় আমাকে বন্দুকের বাঁট দিয়ে মাথায় সজোরে মেরে ফেলে দেওয়া হয়। সঙ্গে সঙ্গেই আরও তিন জন বন্দুক নিয়ে ভিতরে ঢুকে প়ডেন। অফিসে তখন চার জন কর্মী ও এক জন গ্রাহক ছিলেন। এর পর ডাকাতরা বন্দুক দেখিয়ে সবার হাত বেঁধে একটা ঘরে আটকে রাখে। মুখে সেলোটেপ আটকে দেওয়া হয়। তার পর ম্যানেজার ও কর্মীদের মারধর করে লকার খুলতে বাধ্য করে ওরা।’’
ম্যানেজার সৈকত দাস বলেন, ‘‘১২ কেজির মতো সোনা এবং নগদ ১০ লক্ষ টাকা লুঠ করেছে ওরা। লুঠ হওয়া সোনার দাম এখন বাজারে প্রায় ৭ কোটি ৭১ লক্ষ টাকার মতো।’’
খবর পেয়েই সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে আসে আসানসোল দক্ষিণ থানার পুলিশ। আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশের ডিসিপি (সেন্ট্রাল) বলেন, ‘‘পুলিশ তদন্ত শুরু করছে। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে ডাকাতদের শনাক্ত করার চেষ্টা হচ্ছে। ওরা যাতে এলাকা ছেড়ে বেরতে না পারে, তার জন্য সীমানা সিল করে তল্লাশি শুরু হয়েছে।’’