rice mill

মন্তেশ্বরে চালকল ‘সিল’ করল প্রশাসন

শুক্রবার থেকে ওই চালকলের সামনে পুলিশ পিকেট বসেছে। গলসির একটি চালকলের বিরুদ্ধেও এ ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে, জানিয়েছে জেলা খাদ্য দফতর। খাদ্যমন্ত্রী এ দিন বলেন, “পাঁচ বছর ধরে সরকারকে চাল দেবে না, আবার আদালতে মামলা ঠুকে সরকারের টাকা নষ্ট করবে, এ সব চলবে না। আমরা প্রত্যেকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব। আমি শীঘ্রই মন্তেশ্বরে গিয়ে ব্লক প্রশাসন, চালকল মালিকদের সঙ্গে বৈঠক করব।’’

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বর্ধমান শেষ আপডেট: ১৮ জানুয়ারি ২০২০ ০২:২৫
Share:

মন্তেশ্বরের ওই চালকলে পুলিশের পাহারা। নিজস্ব চিত্র

চাল ফেরত দেওয়া নিয়ে চালকলগুলিকে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। বৃহস্পতিবার রাতেই পাঁচ বছর আগে সহায়ক মূল্যে ধান নিয়ে চাল ফেরত না দেওয়ার অভিযোগে মন্তেশ্বরের একটা চালকল ‘সিল’ করে দিল জেলা প্রশাসন। আরও অভিযোগ, সরকারি ভাবে বন্ধের নির্দেশের পরেও রমরমিয়ে চলছিল চালকলটি।

Advertisement

শুক্রবার থেকে ওই চালকলের সামনে পুলিশ পিকেট বসেছে। গলসির একটি চালকলের বিরুদ্ধেও এ ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে, জানিয়েছে জেলা খাদ্য দফতর। খাদ্যমন্ত্রী এ দিন বলেন, “পাঁচ বছর ধরে সরকারকে চাল দেবে না, আবার আদালতে মামলা ঠুকে সরকারের টাকা নষ্ট করবে, এ সব চলবে না। আমরা প্রত্যেকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব। আমি শীঘ্রই মন্তেশ্বরে গিয়ে ব্লক প্রশাসন, চালকল মালিকদের সঙ্গে বৈঠক করব।’’

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, ২০১৫-১৬ আর্থিক বছরে খাদ্য দফতরের সহযোগী সংস্থা ‘অত্যাবশকীয় পণ্য নিগম’-এর মাধ্যমে ধান নিয়েছিল ওই চালকল। তার মধ্যে ৫০৫ টন ধান থেকে উৎপাদিত চাল দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। বারবার তাগাদা করেও চাল ফেরত না পেয়ে খাদ্য দফতর এফআইআর করে। সরকারি ভাবে চালকলে তালা পড়ে যায়। পুলিশ চার্জশিটও জমা দেয়। কিন্তু তার পরেও ওই চালকলটি চলছে বলে জানতে পারে প্রশাসন। বৃহস্পতিবার দুপুরের বৈঠকে খাদ্যমন্ত্রীও জানতে পারেন, লম্বা সময়ের ‘ভাড়া’য় দেওয়া হয়েছে চালকলটি।

Advertisement

এর পরেই পুলিশ ও খাদ্য দফকতকে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেন মন্ত্রী। সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হতে পারে বলেও জানানো হয়। ওই দিনই সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ ব্লক প্রশাসন, মন্তেশ্বর থানা ও খাদ্য দফতরের কালনা মহকুমার কর্তারা গিয়ে চালকলটি ‘সিল’ করে দেন। প্রশাসনের কাছে পাঠানো রিপোর্টে খাদ্য দফতর জানিয়েছে, ৯০০ বস্তা ধান (প্রতি বস্তায় ৬০ কেজি) ও ১৫০ বস্তা চাল রয়েছে সেখানে।

শুক্রবার সকালে মন্তেশ্বরের শুশুনিয়া এলাকার ৪৫ জন চাষি ও সাত জন ব্যবসায়ী স্থানীয় বিডিও-র কাছে দাবি করেন, আসল মালিক চালকলটি ‘লিজ’ দিয়েছেন। স্থানীয় এক জন সেটি চালাচ্ছেন। আচমকা প্রশাসন সেটি বন্ধ করে দেওয়ায় তাঁদের ১০ হাজার কুইন্টাল ধানের দাম বকেয়া থেকে গেল বলেও তাঁদের অভিযোগ। জেলা প্রশাসনের দাবি, ওই চাল বাজেয়াপ্ত করে বিক্রি করার প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। জেলা খাদ্য নিয়ামক আবির বালি বলেন, “প্রথম ধাপে চালকল সিল করা হয়েছে। পরবর্তী ধাপের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।’’

‘বেঙ্গল রাইস মিল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন’-এর রাজ্যের কার্যনির্বাহী সভাপতি আব্দুল মালেকেরও দাবি, “ওই চালকল শুধু সরকারকেই নয়, চাষিদের সঙ্গেও প্রতারণা করছিল।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement