water logging

নেই স্থায়ী ঘাট, বর্ষা এলেই চিন্তা বাড়ে গ্রামবাসীর

নদীর পাড়ের এই এলাকায় প্রায় ৪০০ পরিবারের বাস। এলাকাবাসীর দাবি, বর্ষা এলেই বিপদ বাড়ে। স্বাস্থ্যকেন্দ্র হোক বা স্কুল, বাজার, ডাকঘর যেতে হয় তাঁদের।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

পূর্বস্থলী শেষ আপডেট: ০৫ জুলাই ২০২৪ ০৯:২০
Share:

পূর্বস্থলীর দামপাল গ্রামের রাস্তা এমনই। নিজস্ব চিত্র।

স্বাস্থ্যকেন্দ্র, স্কুল, বাজার, ডাকঘরে যেতে গেলে পূর্বস্থলী ২ ব্লকের পাটুলি পঞ্চায়েতের দামপাল এলাকার বাসিন্দাদের পেরোতে হয় ভাগীরথী নদী। এলাকাবাসীর দাবি, সেখানে নেই স্থায়ী ফেরিঘাট। অস্থায়ী ঘাটে যাওয়ার রাস্তাও বিপজ্জনক। বর্ষায় যাতায়াত করা যায় না। পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানান, বিষয়টি তাঁদের নজরে রয়েছে। সমস্যা সমাধানে রয়েছে পরিকল্পনাও।

Advertisement

নদীর পাড়ের এই এলাকায় প্রায় ৪০০ পরিবারের বাস। এলাকাবাসীর দাবি, বর্ষা এলেই বিপদ বাড়ে। স্বাস্থ্যকেন্দ্র হোক বা স্কুল, বাজার, ডাকঘর যেতে হয় তাঁদের। নৌকায় চেপে নদী পেরিয়ে প্রথমে পৌঁছতে হয় পাটুলিতে। নদীর ঘাটে যাওয়ার রাস্তা জলমগ্ন থাকে বেশির ভাগ সময়। কাদামাখা রাস্তাটি বিপজ্জনক হয়ে ওঠে। সাইকেল, মোটর সাইকেল, ভ্যান চলাচলে সমস্যা হয়। নেই স্থায়ী কোনও নদী ঘাট। প্রত্যেক বছর জলের তোড়ে এবং নদী ভাঙনের জেরে নষ্ট হয়ে যায় ঘাট। ফলে নৌকা চলাচলের জন্য ফের তৈরি করতে হয়
অস্থায়ী ঘাট।

গ্রামের বাসিন্দা মন্টু বিশ্বাস বলেন, ‘‘বর্ষা এলে আমাদের ঘুম উড়ে যায়। বার বার বদলাতে হয় ঘাট।’’ আর এক বাসিন্দা নিমাই মণ্ডলের কথায়, ‘‘বর্ষার রাতে হাসপাতালে যেতে পেরোতে হয় নদী। তখন সমস্যা আরও বাড়ে। বৃষ্টিতে ঘাটমুখী রাস্তা বিপজ্জনক হয়ে থাকে। নদীঘাটে আলোর ব্যবস্থা নেই। ফোন করে ডেকে আনতে হয় মাঝিকে। তিনি না আসা পর্যন্ত ঘুটঘুটে অন্ধকারে বসে থাকতে হয়।’’ এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, নদী ঘাটের পরিকাঠামো বৃদ্ধির জন্য এক দশক ধরে আবেদন নিবেদন করেও
কাজ হয়নি।

Advertisement

পাটুলি পঞ্চায়েতের উপপ্রধান দেবব্রত রায় জানিয়েছেন, দামপাল ঘাটে ওঠানামার সমস্যা রয়েছে। ঘাটটিকে নিয়ে পঞ্চায়েত একটি পরিকল্পনা তৈরিও করেছে। খুব শীঘ্র তার কাজ শুরু হবে। তিনি বলেন, ‘‘ঘাটে নৌকা যেখান থেকে যাত্রা শুরু করে সেখানে যাওয়ার একটি ঢালাই রাস্তা তৈরি হবে। তাতে বিভিন্ন যানবাহন নিয়ে ঘাট পর্যন্ত সাধারণ মানুষ যেতে পারেন।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement