প্রতীকী ছবি।
পদ্ধতি শুরু হয়েছিল। কিন্তু বিশেষ এগোয়নি। ফলে, আরও এক বছর উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করা পড়ুয়াদের দূরের কলেজে ছুটতে হবে। কলেজ তৈরির প্রক্রিয়া না এগোনোয় হতাশ কাঁকসার বাসিন্দারা।
কাঁকসা ব্লকের সাতটি পঞ্চায়েতে প্রায় একশো শিশুশিক্ষা কেন্দ্র, একশোর বেশি প্রাথমিক স্কুল। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক মিলিয়ে গোটা কুড়ি স্কুল রয়েছে। প্রাথমিক থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত পড়াশোনা সেখানে হয়ে যায়। কিন্তু তার পরে যে পড়ুয়ারা ডিগ্রি কলেজে ভর্তি হতে চায়, সমস্যায় পড়ে। ব্লকে একাধিক বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং, ম্যানেজমেন্ট, আইন, এমনকী মেডিক্যাল কলেজও রয়েছে। শুধু নেই সরকারি ডিগ্রি কলেজ। আদিবাসী অধ্যুষিত এই ব্লকে আর্থিক কারণে অনেক পড়ুয়াই বেসরকারি কলেজে বা বাইরে কোথাও পড়তে যেতে মুশকিলে পড়ে। তাই দীর্ঘদিন ধরেই কাঁকসায় একটি সরকারি ডিগ্রি কলেজ তৈরির দাবি রয়েছে। এখনও তা না হওয়ায় বাধ্য হয়ে ছেলেমেয়েদের দুর্গাপুর, বোলপুর বা অন্যত্র কলেজে পাঠান বাসিন্দারা। অনেকে আর্থিক কারণে মাঝপথে পড়া ছেড়ে দিতে বাধ্য হয় বলেও অভিযোগ।
স্থানীয় বাসিন্দারা কলেজের দাবিতে বারবার চিঠি দিয়েছেন প্রশাসনকে। ২০১৫ সালে ব্লক প্রশাসনের তরফে সব স্কুল কর্তৃপক্ষকে নিয়ে বৈঠক করা হয়। কাঁকসা হাইস্কুল কর্তৃপক্ষ জানান, তাঁদের হাতে থাকা প্রায় ১২ বিঘা জমি কলেজ গড়ার জন্য দিতে চান। সেই প্রস্তাব পাঠানো হয় শিক্ষা দফতরে। ২০১৬ সালে বর্ধমান পূর্ব কেন্দ্রের সাংসদ সুনীল মণ্ডল ব্লক প্রশাসন, পঞ্চায়েত, ব্যবসায়ী ও নানা স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, বিভিন্ন ক্লাব কর্তৃপক্ষকে নিয়ে বৈঠক ডাকেন। কলেজ গড়ার জন্য আমানত তৈরির প্রক্রিয়াও শুরু হয়। কিন্তু তার পরে বিষয়টি আর এগোয়নি। ফলে, এ বারও ব্লকের উচ্চ মাধ্যমিক উত্তীর্ণ পড়ুয়াদের উচ্চশিক্ষার জন্য যেতে হয়েছে বাইরে। সিলামপুর হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক সুকুমার পাল বলেন, ‘‘বিশেষ করে দামোদরের দিকে ব্লকের দক্ষিণ অংশের যোগাযোগ ব্যবস্থা এখনও তত উন্নত নয়। ফলে, সে দিকের পড়ুয়াদের সমস্যা বেশি।’’
প্রশাসন অবশ্য শীঘ্র কলেজ তৈরির বিষয়ে কোনও আশার কথা শোনাতে পারেনি। কাঁকসার বিডিও অরবিন্দ বিশ্বাস জানান, কলেজ হলে পড়ুয়ারা উপকৃত হবে ঠিকই। তবে গত বছর বৈঠকের পরে প্রক্রিয়া বিশেষ এগোয়নি।