‘গোঁজ’ প্রার্থীর প্রচার। আউশগ্রামে। ছবি: প্রদীপ মুখোপাধ্যায়
তৃণমূলের প্রতীক না পেয়ে ‘গোঁজ’ হয়ে দাঁড়িয়েছেন অনেকে। তাঁদের মনোনয়ন তুলে দেওয়ার জন্য স্পষ্ট নির্দেশ দেয় দল। দলীয় প্রার্থীর হয়ে প্রচার, না মানলে বহিষ্কারের বার্তাও দেন তৃণমূল নেতারা। তার পরেও অনেকেই পিছু না হটে অন্য প্রতীকেই প্রচার চালাচ্ছেন এলাকায়।
আউশগ্রামের ভেদিয়া পঞ্চায়েতে তৃণমূলের প্রাক্তন বুথ সভাপতি, বিদায়ী পঞ্চায়েত সদস্যা-সহ তিন জনকে অন্য প্রতীক নিয়ে প্রচার করতে দেখা যাচ্ছে। তৃণমূলের একাংশের দাবি, বাড়ি বাড়ি প্রচারের পাশাপাশি ফ্লেক্স, ব্যানারও টাঙিয়েছেন তাঁরা। এজেন্টের জন্য আবেদনও করেছেন। ব্লক তৃণমূলের দাবি, বিষয়টি জেলা নেতৃত্বকে জানানো হয়েছে।
ভেদিয়া পঞ্চায়েতে ২০টি আসনেই প্রার্থিতালিকা ঘোষণার আগে মনোনয়ন জমা দেয় তৃণমূল। পরে তালিকা অনুযায়ী মনোনয়ন প্রত্যাহারের নির্দেশ দেওয়া হয়। ১৭ জন মনোনয়ন তুলে নিলেও ভেদিয়ার উত্তরপাড়া দিগড়েডাঙা ১৫ নম্বর বুথের সন্দীপকুমার দে, ভেদিয়া বাগদিপাড়ার ১৬ নম্বর বুথে প্রতিমা বাগদি এবং পোগ্রামের ১৯ নম্বর বুথের রাখী মেটে মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি। সন্দীপ তৃণমূলের প্রাক্তন বুথ সভাপতি এবং প্রতিমা তৃণমূলের বিদায়ী পঞ্চায়েত সদস্যা। তৃণমূলের দাবি, দলীয় নেতৃত্বের তরফে গোঁজ প্রার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে দলের হয়ে প্রচারের কথা বলা হলেও তাঁরা শোনেননি।
সন্দীপ বলেন, ‘‘এলাকার মানুষের জন্য আমি কাজ করেছি। তাঁদের চাহিদাকে মর্যাদা দিতেই মনোনয়ন প্রত্যাহার করিনি। ফ্লেক্স টাঙিয়ে, ঘরে ঘরে প্রচার করছি।” তাঁর আরও দাবি, দলে থাকার সময় অঞ্চল সভাপতির নির্দেশ মতো চলেছেন। এখন তৃণমূলের সঙ্গে সম্পর্ক নেই। বহিষ্কারের কথা জানানো হয়নি বলেও দাবি করেছেন তিনি।তৃণমূলের আউশগ্রাম ২ ব্লক সভাপতি রামকৃষ্ণ ঘোষ বলেন, “ভেদিয়ার প্রাক্তন অঞ্চল সভাপতি নাসিরুল শেখ ওঁদের দিয়ে মনোনয়ন করিয়েছিলেন। দল বলার পরেও যাঁরা মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি, তাঁদের বিরুদ্ধে দল ব্যবস্থা নেবে।’’ যদিও নাসিরুলের দাবি, “সময় শেষ হয়ে যাওয়ায় ওঁরা মনোনয়ন প্রত্যাহার করতে পারেননি। আমি দলের হয়ে প্রচার করতে বলেছিলাম। তাঁরা ব্যক্তিগত ভাবে কে, কী করছেন, আমার জানা নেই।’’