—ফাইল চিত্র।
রামের প্রতিকৃতি নিয়ে মিছিল, পুজোপাঠ থেকে বড় পর্দায় অযোধ্যার অনুষ্ঠান দেখানো হল জেলার নানা প্রান্তে। তবে জনজীবনে তেমন প্রভাব পড়েনি বলে দাবি নানা এলাকার বাসিন্দাদের। অনেক স্কুলে হাজিরা এ দিন কিছুটা কম ছিল। নানা কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে উপস্থিতি ছিল স্বাভাবিক। সরকারি দফতরেও হাজিরা স্বাভাবিক ছিল বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে।
বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু ছাত্রছাত্রী বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে থাকা বিভিন্ন প্রাচীন মন্দিরে প্রদীপ জ্বালেন। লাড্ডু বিলি হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের এবিভিপি শাখার তরফে রাজেন সেন জানান, সংগঠনের তরফে নয়, সাধারণ ছাত্রছাত্রীরাই পুজো করেছেন। এ দিন বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রশাসনিক ভবনে অর্থ বিভাগের মধ্যে শিবলিঙ্গ প্রতিষ্ঠা, পায়েস বিলির অভিযোগ উঠেছে। কর্মচারী সংগঠন এর বিরুদ্ধে স্মারকলিপি দিয়েছে। অন্তর্বতীকালীন উপাচার্য গৌতম চন্দ্র বলেন, ‘‘এমন ঘটনা জানা ছিল না। খোঁজ নেব।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘সরস্বতী পুজো ছাড়া বিশ্ববিদ্যালের অঙ্গন ধর্মীয় আচরণের বাইরে রাখাই ভাল।’’
বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ বিভাগের আধিকারিক (এফও) সৌগত চক্রবর্তী অবশ্য বলেন, ‘‘বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরে রাজাদের তৈরি অনেক শিবমন্দির রয়েছে। প্রয়োজন হলে সেখানে যেতাম। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরে শিব প্রতিষ্ঠা আমাদের কাজ নয়। যাঁরা এ সব অভিযোগ করছেন, তাঁরাই বিশ্ববিদ্যালয়ের খামারে উৎপাদিত ধানের ৫০০ গ্রাম চালের পায়েস রান্না করেছিলেন।’’
গুসকরায় একটি চায়ের দোকান এ দিন বিনামূল্যে চা বিতরণ করে। কালনার এক মিষ্টি বিক্রেতা জানান, শুধু চার হাজার লাড্ডু বিক্রি করেছেন তাঁরা। বর্ধমান শহর লাগোয়া বৈকুণ্ঠপুর ১ অঞ্চলের স্বস্তিপল্লি মাঠে তিন দিন ধরে চলছে নানা অনুষ্ঠান। লোকো চারতলা মোড়, বর্ধমানের জোড়া মন্দির, তেজগঞ্জ হারাধনপল্লি, ১০৮ শিব মন্দিরেও অনুষ্ঠান হয়।
কালনা শহরে অয্যোধ্যার রামমন্দিরের প্রতিকৃতি সামনে রেখে ১০৮ শিবমন্দির থেকে একটি মিছিল বেরোয়। গেরুয়া শাড়ি পরে হাঁটেন মহিলারা। আরএমসি বাজারের সামনে ১৪ ফুটের রামলালার মূর্তি প্রতিষ্ঠা করা হয়। সন্ধ্যায় ১০৮ শিবমন্দির, প্রতাপেশ্বর মন্দির,
লালজি মন্দির, মহাপ্রভু মন্দিরে জ্বালানো হয় প্রদীপ। পূর্বস্থলীর দু’টি ব্লকে রামমন্দিরের উদ্বোধন দেখার জন্য বড় পর্দার ব্যবস্থা ছিল। কাটোয়ার আদর্শপল্লি, দাঁইহাটেও শোভাযাত্রা হয়।