ঝড়-বৃষ্টিতে ফসলের ক্ষতি, মৃত্যু দু’জনের

ঝড়-বৃষ্টি ও বজ্রপাতের জেরে পূর্বস্থলী ২ ব্লকে ফসলে ক্ষতি ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটল। শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ ক্ষেত থেকে বাড়ি ফেরার পথে বাজ পড়ে মারা যান মাজিদা পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দা ইসমাইল শেখ (৪৫)। ওই সময়েই পাশের গ্রাম থেকে বাড়ি ফেরার পথে জখম হন বারোরপাড়া এলাকার মুকুল মল্লিক (৩২)।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

পূর্বস্থলী শেষ আপডেট: ১৭ মে ২০১৫ ০০:৪৭
Share:

বৃষ্টির পথে। —নিজস্ব চিত্র।

ঝড়-বৃষ্টি ও বজ্রপাতের জেরে পূর্বস্থলী ২ ব্লকে ফসলে ক্ষতি ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটল।

Advertisement

শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ ক্ষেত থেকে বাড়ি ফেরার পথে বাজ পড়ে মারা যান মাজিদা পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দা ইসমাইল শেখ (৪৫)। ওই সময়েই পাশের গ্রাম থেকে বাড়ি ফেরার পথে জখম হন বারোরপাড়া এলাকার মুকুল মল্লিক (৩২)। মুকুলবাবুকে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে জানান। এ ছাড়াও বজ্রপাতের জেরে অসুস্থ হয়ে পড়েন কুকসিমলা গ্রামের বাসিন্দা দিবাকর শেখ। তাঁকে নবদ্বীপ স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। পরিবারের সূত্রে জানা গিয়েছে, সন্ধ্যায় বাড়ির অদূরে একটি নারকেল গাছে বাজ পড়ে। তার জেরেই অসুস্থ হয়ে পড়েন দিবাকরবাবু।

বাজ পড়ে পিলা পঞ্চায়েতের বড়ডাঙা গ্রামে রবীন্দ্রনাথ মণ্ডলের একটি মুরগীর খামারে আগুন লেগে যায়। এর জেরে প্রায় হাজার দেড়েক মুরগী মারা গিয়েছে বলে রবীন্দ্রনাথবাবুর দাবি। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, ওই দিন সন্ধ্যায় প্রায় মিনিট ২০ ধরে টানা বাজ পড়ে। এর জেরে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ঝড়ের ফলে গোটা ব্লকেই বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে গিয়েছে। এর জেরে শনিবার সকাল পর্যন্ত গোটা এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। যদিও বিদ্যুৎ দফতরের দাবি, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে চেষ্টা চালানো হচ্ছে।

Advertisement

শুক্রবারের ঝড়-বৃষ্টির জেরে গোটা ব্লক জুড়েই সব্জি ও ফসল চাষেও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তা ছাড়া এই সময় ধান ঝাড়ার কাজও চলছে। শনিবার সকালে খড়দত্তপাড়া, পিলা, হাঁপানিয়া প্রভৃতি গ্রামে গিয়ে দেখা গেল বহু জায়গায় বৃষ্টির জলে ক্ষেতে রাখা ধান নষ্ট হয়ে গিয়েছে। স্থানীয় চাষি সমীর ঘোষ বলেন, ‘‘এই সময় বেশ কিছু সব্জি বাজারে উঠতে শুরু করে। ঝড়-বৃষ্টির জেরে ব্যাপক ক্ষতি হয়ে যাওয়ায় এ বছর লোকসানের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।’’ মহকুমা কৃষি দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, পূর্বস্থলী ২ ব্লকের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানতে সংশ্লিষ্ট কৃষি আধিকারিকের কাছে রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। পূর্বস্থলী উত্তর কেন্দ্রের বিধায়ক তপন চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘গোটা ব্লক জুড়েই ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বেশ কয়েকটি আম বাগানও লন্ডভন্ড হয়ে গিয়েছে। বিডিও-র কাছে পুরো পরিস্থিতি জানতে চেয়েছি।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement