প্রতীকী ছবি।
কোভিড-পরিস্থিতিতে বাড়ি-বাড়ি গিয়ে সমীক্ষা করা, গৃহ-পর্যবেক্ষণে থাকা লোকজন সম্পর্কে নজরদারি-সহ নানা কাজ করছেন আশাকর্মীরা। পশ্চিম বর্ধমান জেলা প্রশাসনও আশাকর্মীদের কাজের কারণে পরিস্থিতির মোকাবিলায় ‘সুফল’ মিলছে বলে দাবি করেছে। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে আশাকর্মীদের সংগঠন ‘উপযুক্ত’ স্বাস্থ্য সরঞ্জাম মিলছে না বলে অভিযোগ করেছে।
‘পশ্চিমবঙ্গ আশাকর্মী ইউনিয়ন’-এর পশ্চিম বর্ধমান জেলার নেতৃত্ব জানান, জেলায় আটটি ব্লকে ৬৪০ জন, আসানসোল ও দুর্গাপুর পুরসভা এলাকায় ৬৯৪ জন আশাকর্মী কোভিড-পরিস্থিতির মোকাবিলায় কাজ করছেন। সংগঠনের জেলা নেত্রী সুচেতা কুণ্ডুর ক্ষোভ, ‘‘করোনা মোকাবিলার সময়ে রাজ্য সরকার বেতন ছাড়াও, মাসে অতিরিক্ত ভাতা হিসেবে এক হাজার টাকা করে দেওয়ার কথা জানিয়েছিল। কিন্তু জুলাই, অগস্ট, সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরের ভাতার টাকা এখনও মেলেনি।’’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আশাকর্মীদের অভিযোগ, যে পিপিই কিট পাওয়া গিয়েছে, তা নিম্নমানের হওয়ায় ব্যবহার করা যাচ্ছে না। হ্যান্ড স্যানিটাইজ়ার এবং মাস্কও ঠিক মতো মিলছে না বলে অভিযোগ। এই পরিস্থিতিতে আশাকর্মীদের অনেকেই সংক্রমণের আশঙ্কা করছেন। ইতিমধ্যেই জেলায় কয়েকজন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন বলেও সংগঠনের দাবি। পাশাপাশি, আশাকর্মীরা আক্রান্ত হলে এক লক্ষ টাকা পর্যন্ত সরকারি অনুদান দেওয়ার কথা থাকলেও তা এখনও পর্যন্ত জেলায় এক জন আক্রান্ত আশাকর্মীও পাননি বলে দাবি। সুচেতাদেবীর দাবি, তাঁদের দাবিদাওয়া, সমস্যার বিষয়ে গত ৮ অক্টোবর জেলা স্বাস্থ্য দফতরকে জানানো হলেও এ পর্যন্ত সমস্যার সমাধান হয়নি। গ্রামীণ এলাকায় সমস্যা আরও বেশিবলে দাবি তাঁর।
অভিযোগ অস্বীকার করেছে জেলা স্বাস্থ্য দফতর। মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক (সিএমওএইচ) অশ্বিনী মাজি বলেন, ‘‘যথেষ্ট সংখ্যায়, নির্দিষ্ট গুণমানের পিপিই কিট রয়েছে। দফতরে যোগাযোগ করলেই তা মিলবে। অন্য সুরক্ষা সরঞ্জাম নিয়মিত সরবরাহ করা হচ্ছে। আশাকর্মীদের সংগঠন যে স্মারকলিপি দিয়েছিল, তা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে।’’