Market Price

খুচরো বাজারে দাম কেন বেশি, প্রশ্ন অভিযানে

মঙ্গলবার নবান্নে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দশ দিনের মধ্যে আনাজের দাম কমানোর নির্দেশ দেন। জেলা প্রশাসনকেও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের নির্দেশ দেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আসানসোল ও দুর্গাপুর শেষ আপডেট: ১১ জুলাই ২০২৪ ০৮:৪১
Share:

আসানসোলের বাজারে পরিদর্শন আধিকারিকদের। ছবি: পাপন চৌধুরী।

মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরেই মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে অভিযানে নামল জেলা প্রশাসন। বুধবার সকালে আসানসোল ও দুর্গাপুরের বিভিন্ন বাজারে পরিদর্শনে যান প্রশাসনের কর্তারা। কয়েক জন ব্যবসায়ীকে জরিমানাও করা হয়। ক্রেতাদের একাংশের দাবি, প্রশাসনের অভিযান শুরু হতেই আনাজের দাম কিছুটা কমেছে।

Advertisement

মঙ্গলবার নবান্নে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দশ দিনের মধ্যে আনাজের দাম কমানোর নির্দেশ দেন। জেলা প্রশাসনকেও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের নির্দেশ দেন। এর পরেই বুধবার সকালে আসানসোলে মহকুমাশাসক (সদর) বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে বিশেষ টাস্ক ফোর্স বাজার পরিদর্শনে নামে। মহকুমাশাসক বলেন, ‘‘জেলাশাসকের নির্দেশে অভিযান হচ্ছে। তা লাগাতার চলবে। পাইকারি বাজারের তুলনায় খুচরো বাজারের দাম অনেক বেশি।’’ তিনি জানান, খুচরো বাজারে কেন বেশিদাম নেওয়া হচ্ছে, তা বিক্রেতাদের কাছে জানতে চাওয়া হয়। মনে হয়েছে, কিছু ক্ষেত্রে অযথা বেশি দাম নেওয়া হচ্ছে। দ্রুত দাম কমানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

প্রশাসনের কর্তাদের দাবি, কোনও ভাবেই যাতে কৃত্রিম মূল্যবৃদ্ধি না হয়, সে দিকে নজর থাকবে। এ দিন বাজারের ব্যবসায়ীদের ওজন যন্ত্র পরীক্ষা করা হয়। মহকুমাশাসক জানান, ওজন যন্ত্রগুলি প্রতি বছর মেট্রোলোজি বিভাগ থেকে পরীক্ষা করিয়ে পুনর্নবীকরণ করাতে হয়। কিন্তু দেখা গিয়েছে, অনেক বিক্রেতার সেই যন্ত্র নিয়মিত পরীক্ষা করানো হয়নি। সেই সব যন্ত্র বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। কয়েক জন বিক্রেতাকে জরিমানাও করা হয়েছে।

Advertisement

এ দিন আসানসোল বাজার, কোর্ট রোড বাজার-সহ কয়েকটি বাজারে প্রশাসনের অভিযানের পরেই আনাজের দাম কমতে শুরু করে বলে ক্রেতাদের অনেকে জানান। প্রতিমা বল নামে এক ক্রেতারকথায়, ‘‘সোমবার যে সব আনাজ কেজি প্রতি ৮০ টাকায় কিনেছি, সেটাই আজ ৬০ টাকায় নেমেছে। প্রশাসন নিয়মিত অভিযান চালালে ক্রেতারা উপকৃত হন।’’

এ দিন সকালে দুর্গাপুরের ডিএসপি টাউনশিপের আশিস মার্কেটে ক্রেতা সুরক্ষা দফতরের আধিকারিকেরা পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে পৌঁছন। বিক্রেতাদের সঙ্গে কথাবলে আনাজের দাম কেন চড়া, তা জানতে চান তাঁরা। ক্রেতাদের সঙ্গেও কথা বলেন। এখানেও ওজন যন্ত্র পরীক্ষা করে দেখা হয়। কয়েক জনের যন্ত্রে গোলমাল ধরা পড়ায় ব্যবস্থা নেওয়া হয়। দুর্গাপুরে মোট ৭টি পাইকারি ও ৮৭টি ছোট-মাঝারি বাজার রয়েছে। সব বাজারেই অভিযান হবে বলে জানান ক্রেতা সুরক্ষা দফতরের আধিকারিক এ কে দাস। তিনিও জানান, পাইকারি বাজারে দামকিছুটা নিয়ন্ত্রণে থাকলেও, খুচরো বিক্রেতারা তুলনায় চড়া দাম নিচ্ছেন। সবাইকে সতর্ক করা হচ্ছে। মাছের বাজারেও পরিদর্শনে যান তাঁরা। দুর্গাপুরের আনাজ বিক্রেতাদেরযদিও দাবি, আনাজ রাখলেই নষ্ট হয়ে যায়। তাই বাধ্য হয়ে কম দামেই বিক্রি করেন তাঁরা।

এ দিন পুলিশকে নিয়ে পানাগড় বাজারে অভিযান চালান বিডিও পর্ণা দে। তিনি বলেন, “আমরা গোটা বাজার ঘুরে দেখছি। ক্রেতা-বিক্রেতা— দু’পক্ষের সঙ্গেই কথা বলছি। ঠিক দামে আনাজ বিক্রি হচ্ছে কি না, তা দেখার সঙ্গে ওজনের যন্ত্র ঠিক রয়েছে কি না, তা-ও দেখা হচ্ছে। অনিয়ম দেখলেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement