শুক্রবার মাইথনে নৌকাবিহার। নিজস্ব চিত্র।
করোনা-বিধি মেনে চলার পাশাপাশি, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করতে হবে। সে জন্য মাইথন জলাধার-সহ লাগোয়া এলাকায় পিকনিক করতে আসা দলগুলির জন্য কিছু নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে পশ্চিম বর্ধমানের সালানপুর ব্লক প্রশাসন। নির্দেশ অমান্য করলে, জরিমানা আদায় করা হবে বলে প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে।
কী সেই নিষেধাজ্ঞা?
প্রতি বছরই ২৫ ডিসেম্বর থেকে মাইথন পর্যটনকেন্দ্রে ভ্রমণার্থীদের ঢল নামে। কয়েক হাজার মানুষ এখানে পিকনিক করতে আসেন। এ বারও তার অন্যথা হবে না বলেই ধরে নিয়েছে ব্লক প্রশাসন। ২০১৩-য় ব্লক প্রশাসনের তরফে মাইথনকে ‘পরিবেশ বান্ধব’ পর্যটনকেন্দ্র ঘোষণা করা হয়। ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এ বারও প্লাস্টিক ও থার্মোকলের সামগ্রীর ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ডিজে বা সাউন্ডবক্স বাজানো যাবে না। মদ্যপান ও তামাকজাত সামগ্রীর বিক্রিও নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সালানপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ফাল্গুনী ঘাসি কর্মকার বলেন, “এই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করলে আইনি পদক্ষেপ
করা হবে।”
বিডিও (সালানপুর) অদিতি বসু জানান এর পাশাপাশি, ভ্রমণার্থীদের নিরাপত্তার কথা ভেবে আরও কিছু নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। মাইথন পর্যটনকেন্দ্রের অন্যতম আকর্ষণ নৌকাবিহার। সাধারণত, এ সময়ে বহু পর্যটক নৌকাবিহার করতে চেয়ে ভিড় জমান। প্রশাসনের সূত্রে জানা গিয়েছে, কোনও রকম দুর্ঘটনা এড়াতে ‘লাইফ জ্যাকেট’ ছাড়া, নৌকাবিহার কঠোর ভাবে নিষিদ্ধ, নির্দিষ্ট সংখ্যার চেয়ে বেশি পর্যটক না তোলার জন্য মাঝিদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া, নৌকাবিহারের সময়ে নিজস্বী তুলতেও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
পাশাপাশি, সালানপুর পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ভিড় সামাল দিতে পিকনিকে আসা গাড়িগুলির যাতায়াতের জন্য ‘একমুখী’ (ওয়ানওয়ে)-র ব্যবস্থা করা হয়েছে। পর্যটনকেন্দ্রে ঢুকতে গেলে কল্যাণেশ্বরী থেকে মাইথন অভিমুখের রাস্তা ধরতে হবে। বেরনোর জন্য বাথানবাড়ির রাস্তা ধরে ফিরতে হবে। এ ছাড়া, বিভিন্ন গাড়ির জন্য নির্দিষ্ট করে দেওয়া জায়গায় গাড়ি পার্ক করে রাখতে হবে। পিকনিকের দলগুলিকে বিকেল ৪টের মধ্যে ফিরে যাওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে।
আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের ডিসিপি (পশ্চিম) অভিষেক মোদী জানান, প্রশাসনের তরফে নির্দিষ্ট করে দেওয়া বিধি-নিষেধ কঠোর ভাবে পালন করতে হবে। সর্বোপরি, করোনা-বিধি কেউ লঙ্ঘন করলে, তাঁর বিরুদ্ধে মহামারী প্রতিরোধ আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা করবে প্রশাসন।