মুড়ি-তেল সঙ্গে আনুন, নোট-সঙ্কটে বার্তা দলের

সামনে ভোট-যুদ্ধ। অথচ সৈনিকদের অস্ত্রশস্ত্র, ভরপেটে খাবারের খরচা দিতেই নাকাল রাজনৈতিক দলগুলি। শাসক দল তো বটেই, সিপিএম, কংগ্রেস নেতাদেরও দাবি, প্রচারের মঞ্চ-মাইকের খরচ, গাড়ির তেল, কর্মীদের খাওয়া-দাওয়ার খরচ মেটাতে খুচরো টাকা লাগছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মন্তেশ্বর শেষ আপডেট: ১৪ নভেম্বর ২০১৬ ০০:৫৮
Share:

মন্তেশ্বরে সভা-মিছিলে তৃণমূল, সিপিএম ও বিজেপি। রবিবার তোলা নিজস্ব চিত্র।

সামনে ভোট-যুদ্ধ। অথচ সৈনিকদের অস্ত্রশস্ত্র, ভরপেটে খাবারের খরচা দিতেই নাকাল রাজনৈতিক দলগুলি।

Advertisement

শাসক দল তো বটেই, সিপিএম, কংগ্রেস নেতাদেরও দাবি, প্রচারের মঞ্চ-মাইকের খরচ, গাড়ির তেল, কর্মীদের খাওয়া-দাওয়ার খরচ মেটাতে খুচরো টাকা লাগছে। কিন্তু এত নগদ জোগান দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। আবার ব্যাঙ্কের লাইনে দাঁড়িয়ে টাকা তুলতে গিয়ে প্রচারের সময় মার খাবে বলে সে দিকেও সবসময় পা বাড়াচ্ছেন না প্রার্থীরা।

নেতাদের দাবি, ১৯ নভেম্বর ভোট। শেষ ক’দিনে স্বাভাবিক ভাবেই মিটিং-মিছিল, বাড়ি বাড়ি ঘুরে প্রচার জোরকদমে চলছে। বুথে বুথে ফেস্টুন, ব্যানার টাঙাতেও লোক লাগছে। কিন্তু নগদে খরচা মেটাতে গেলেই মুশকিল। নির্বাচন উপলক্ষে মন্তেশ্বরে পড়ে রয়েছেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি (গ্রামীণ) স্বপন দেবনাথ। রবিবার তিনি বলেন, ‘‘বড় অসুবিধার মুখে পড়েছি। সকাল থেকে পঞ্চাশ, একশো টাকার নোট জোগাড় করতেই হিমসিম।’’ তাঁর দাবি, দলের হয়ে বাউল -সহ বহু লোকশিল্পীকে প্রচারে নামানো হয়েছে। কিন্তু হাতে থাকা পাঁচশো, হাদারের নোট ভাঙিয়ে তাঁদের কোথাও খাওয়ানো যাচ্ছে না। সঙ্কট মেটাতে দলের নেতা-কর্মীদের বাড়ির ভাণ্ডার ভেঙে যতটা পারা যায় সাহায্য করারও আবেদন জানিয়েছেন তিনি।

Advertisement

অসুবিধের কথআ বলছেন সিপিএম প্রার্থী ওসমান গনি সরকারও। তিনি বলেন, ‘‘পুরনো নোট তুলে নেওয়ায় খুবই সমস্যায় পড়েছি। চাইলেও দলীয় কর্মীদের এক কাপ চা খাওয়াতে পারছি না। পেট্রোল পাম্পে প্রচারের গাড়ির তেল পুড়তেও সমস্যা হচ্ছে।’’ কংগ্রেস প্রার্থী বুলবুল আহমেদেরও দাবি, ‘‘বড় নোট কেউ নিতে চাইছেন না। আবার খুচরো চেয়েও লাভ হচ্ছে না।’’ এই পরিস্থিতিতে গ্রামে গ্রামে ঘুরে প্রচারে নামার আগে কর্মীদের মুড়ি, তেল সঙ্গে নিয়ে বেরোনোর পরামর্শ দিচ্ছেন তাঁরা।

যদিও বিজেপি প্রার্থী বিশ্বজিৎ পোদ্দারের দাবি, ‘‘সাময়িক ভাবে ব্যাঙ্কে লাইন দিয়ে টাকা তুলতে সাধারণ মানুষের কিছু অসুবিধা হচ্ছে। তবে দেশের কথা ভেবে তাঁরা তা হাসিমুখে মেনে নিয়েছেন। আমাদের প্রচারে কোনো অসুবিধা হচ্ছে না।’’ বিজেপি সূত্রের খবর, প্রচারের বেশির ভাগ খরচই চেকে দেওয়া হচ্ছে। আর কর্মীদের খাবারের পিছনে দু’আড়াইশো টাকা বিল হলে অনেক দোকানদারই পুরনো নোট নিচ্ছে বলেও তাঁর দাবি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement