বিক্ষোভ। মাস্ক নেই মানুষজনের মুখে। নিজস্ব চিত্র
শিল্পাঞ্চল জুড়ে সিএনজি-র (কমপ্রেসড ন্যাচরাল গ্যাস) আকাল শুরু হয়েছে। জেলার বিভিন্ন গ্যাস সরবরাহ কেন্দ্রে ঘণ্টার পরে ঘণ্টা অপেক্ষা করেও গ্যাস মিলছে না বলে অভিযোগ যান চালকদের। গ্যাসের অভাবে বন্ধ হয়েছে গিয়েছে দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার বাস চলাচলও। অবিলম্বে গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক করার দাবিতে সোমবার বিভিন্ন গ্যাস সরবরাহ কেন্দ্রে বিক্ষোভ দেখালেন অটো-চালকেরা। আসানসোল মোটর ট্রান্সপোর্ট ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের সম্পাদক রাজু অহলুওয়ালিয়া বলেন, ‘‘আজ, মঙ্গলবার সমস্যার সমাধান না হলে আমরা প্রশাসনের দ্বারস্থ হব।’’
এ দিকে, বেসরকারি গ্যাস সংস্থার অভিযোগ, কিছু বহিরাগতের আন্দোলনের জেরে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করা হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার জন্য আলোচনা চলছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার বিকেল থেকে শিল্পাঞ্চল জুড়ে শুরু হয়েছে গ্যাসের আকাল। সোমবার দুপুরে তা চরম আকার নেয়। এই সময়ের মধ্যে বিভিন্ন গ্যাস সরবরাহ কেন্দ্রে যেটুকু গ্যাস ছিল তা শেষ হওয়ার পরেই বিক্ষোভ শুরু হয়ে যায়। আসানসোল শিল্পাঞ্চল জুড়ে প্রায় হাজারখানেক সিএনজি চালিত অটো চলাচল করে। এ দিন সকাল থেকে অটো চালকেরা গ্যাস পাননি। ফলে, রাস্তায় গাড়ি বের করে তাঁরা বিপাকে পড়ে যান। অটোচালক মনোজ ভগৎ, বিকাশ কাড়ার, অজয় রাম বলেন, ‘‘পুজোর মুখে এ ভাবে গ্যাসের অমিল হওয়ায় রোজগারে টান পড়েছে। সাধারণত এই সময়ে মানুষজন অটোয় চেপে যাতায়াত করেন। কিন্তু গ্যাসের অভাবে আমরা গাড়িই চালাতে পারছি না।’’ অবিলম্বে গ্যাসের সরবরাহ স্বাভাবিক করার দাবি জানিয়ে এ দিন অটোচালকেরা আসানসোলের দু’টি গ্যাস সরবরাহ কেন্দ্রে বিক্ষোভ দেখান।
গ্যাসের অভাবে রাস্তায় নামেনি দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার বাসও। সংস্থার আসানসোল ডিপোর আধিকারিক বিভাস সরকার জানান, তাঁদের মোট ৩৭টি গ্যাস চালিত বাস আছে। গ্যাস না পেয়ে একটিও বাস চলেনি।
এ বিষয়ে জানতে যে বেসরকারি গ্যাস উত্তোলোক সংস্থাটি আসানসোল শিল্পাঞ্চলে গ্যাস সরবরাহ করে তার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। সংস্থার জনসংযোগ দফতরের অভিযোগ, কিছু বহিরাগত বিভিন্ন দাবি নিয়ে হঠাৎই গ্যাস উত্তোলোন কেন্দ্রে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছেন গত শনিবার থেকে। মহিলারা উত্তোলনকেন্দ্রেও ঢুকে পড়েছেন। নিরাপত্তার কারণে গ্যাস উত্তোলন বন্ধ করতে হয়েছে। বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে আলোচনা করে সমস্যা মেটানোর চেষ্টা চলছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেই ফের গ্যাস উত্তোলন ও সরবরাহ শুরু হবে।