Durgapur

জল নেই, প্রাথমিক স্কুলে দু’দিন ধরে বন্ধ মিড-ডে মিল

এই স্কুলে পুরসভার পানীয় জলের সংযোগ রয়েছে। রয়েছে কলও। কিন্তু জল আসে না বলেই অভিযোগ। অভিভাবকদের অভিযোগ, প্রতি বছর গ্রীষ্মে এই স্কুলে পানীয় জলের আকাল দেখা দেয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

দুর্গাপুর শেষ আপডেট: ১৪ এপ্রিল ২০২৩ ০৭:২৮
Share:

কুসুমতলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বৃহস্পতিবার। নিজস্ব চিত্র

পানীয় জলের অভাব। এই পরিস্থিতিতে বুধ ও বৃহস্পতিবার দুর্গাপুরের মুচিপাড়ার কুসুমতলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মিড-ডে মিল বন্ধ রইল। অভিযোগ, বিষয়টি দুর্গাপুর পুরসভার নজরে এনেও লাভ হয়নি।

Advertisement

স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, এখানে ১৯২ জন পড়ুয়া রয়েছে। রয়েছেন ছ’জন শিক্ষক। শিক্ষকেরা জানান, দু’দিন মিড ডে মিল পায়নি পড়ুয়ারা। এত দিন স্থানীয় কারও বাড়ি থেকে জল এনে কাজ চলছিল। কিন্তু বুধবার থেকে তা-ও পাওয়া যায়নি। ফলে, রান্না বন্ধ। সরকারি নির্দেশিকা অনুযায়ী প্যাকেটজাত খাবারও দেওয়া যাচ্ছে না। শিক্ষক চিরঞ্জিৎ ধীবর বলেন, “পরীক্ষা চলছে বলে অধিকাংশ পড়ুয়াই স্কুলে আসছে। মিড ডে মিল দিতে পারছি না। পুরসভাকে জানানো হয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত সমস্যা মেটেনি।” এই পরিস্থিতিতে স্কুলের ছাত্রী অঙ্কিতা রুইদাস বলে, “দুপুরের খাবার পাচ্ছি না আমরা। বাবা-মা টিফিন দিয়ে যাচ্ছে। পানীয় জল নেই বলে রান্না হচ্ছে না স্কুলে।”

অথচ, এই স্কুলে পুরসভার পানীয় জলের সংযোগ রয়েছে। রয়েছে কলও। কিন্তু জল আসে না বলেই অভিযোগ। অভিভাবকদের অভিযোগ, প্রতি বছর গ্রীষ্মে এই স্কুলে পানীয় জলের আকাল দেখা দেয়। সমস্যা মেটাতে নলকূপ বসানোর দাবি জানানো হয়েছে। কিন্তু কিছু হয়নি। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক অভিভাবক বলেন, “গোটা এলাকাতেই পানীয় জলের সমস্যা রয়েছে। প্রতি বছর গ্রীষ্মে সমস্যায় পড়তে হয়। পুরসভার কোনও হেলদোল নেই।” স্কুলের শিক্ষকেরাও নলকূপ বসানোর দাবি জানিয়েছেন। যদিও, বিষয়টি নিয়ে পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীতে জল দফতরের দায়িত্বপ্রাপ্ত সদস্য দীপঙ্কর লাহা বলেন, “স্কুলের প্রধান শিক্ষক, শিক্ষা দফতরের আধিকারিকের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। স্কুলে নলকূপ বসানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। দ্রুত সমস্যার সমাধান হবে।”

Advertisement

এ দিকে, বিষয়টি নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। প্রাক্তন সিপিএম বিধায়ক তথা পুরসভার প্রাক্তন মেয়র পারিষদ বিপ্রেন্দু চক্রবর্তী বলেন, “বর্তমান পুরবোর্ড কোনও বিষয়েই সুদুরপ্রসারী চিন্তাভাবনার ছাপ রাখতে পারেনি।” বিজেপির অন্যতম রাজ্য সম্পাদক লক্ষ্মণ ঘোড়ুইয়ের বক্তব্য, “কেন্দ্রের এত চেষ্টার পরেও এটা চরম দুর্ভাগ্যের যে ছোট-ছোট ছেলে-মেয়েরা দুপুরের খাবার পাচ্ছে না স্কুলে। গত ছ’মাসে মিড ডে মিলে ১০০ কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে রাজ্যে।” যদিও, পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর ভাইস চেয়ারম্যান অমিতাভ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য, “সাময়িক একটা সমস্যা হয়েছে। মিটে যাবে। সব বিষয়েই রাজনীতি খোঁজেন বিরোধীরা।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement