প্রতীকী ছবি।
দ্রুত টিকাকরণে জোর দিয়েছে পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য দফতর। প্রতিদিন এক লক্ষ টিকাদানের লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। প্রশাসনের দাবি, জেলায় লক্ষ্যমাত্রার ৮০ শতাংশ মানুষ টিকা নিয়েছেন। টিকার দু’টি ডোজ় পেয়েছেন ৩৮ শতাংশের মতো। আবার প্রায় এক লক্ষ মানুষ প্রথম ডোজ় নেওয়ার নির্ধারিত সময় পরেও দ্বিতীয় ডোজ় নেননি বলে জানা গিয়েছে। এটাই ভাবাচ্ছে প্রশাসন ও স্বাস্থ্য কর্তাদের।
জেলাশাসক প্রিয়াঙ্কা সিংলা বলেন, ‘‘প্রত্যেক বিডিওদের বলা হয়েছে দ্বিতীয় ডোজ় নেননি, এমন মানুষদের খুঁজে বার করতে হবে। জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে একটি দল গঠন করে বোঝাতে হবে তাঁদের।’’ স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা যায়, জেলায় ৩৯ লক্ষ ৫৯ হাজার মানুষের টিকার প্রয়োজন। শনিবার পর্যন্ত প্রথম ডোজ় পেয়েছেন ৩০ লক্ষ ৭২ হাজার জন। দুটি ডোজ়ই পেয়েছেন ১০ লক্ষ জনের মতো। জেলাশাসক জানিয়েছেন, দ্বিতীয় ডোজের উপরে জোর দেওয়া হয়েছে। প্রতিদিন এক লক্ষ মানুষকে টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে।
প্রথম দফায় করোনা যোদ্ধাদের টিকাকরণে জোর দিয়েছিল স্বাস্থ্য দফতর। ধাপে ধাপে ৪৫ বছরের ঊর্ধ্বে এবং ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে করোনার ‘সুপার স্প্রেডার’দের টিকাকরণ করা হয়। তৃতীয় ঢেউয়ে শিশুদের আক্রান্ত হওয়ার সতর্কতা থাকায় ১২ বছর বয়স পর্যন্ত শিশুর মায়েদের টিকাকরণেও জোর দেওয়া হয়। তবে চাহিদা অনুযায়ী জোগান না থাকায় ১৮ ঊর্ধ্বদের সবাই টিকা পাননি। জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য দফতরের দাবি, বাকি সবাইকে প্রথম ডোজ় টিকা দেওয়ার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। বুথভিত্তিক ভোটার তালিকা ধরে টিকা পাওয়া ও টিকা না পাওয়া ব্যক্তিদের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। আশা, অঙ্গনওয়াড়ি ও গ্রামসম্পদ কর্মীরা ওই কাজ করছেন। ওই তালিকা অনুযায়ী টিকা না পাওয়া ব্যক্তিদের তাঁদের বাড়ির কাছাকাছি শিবিরে টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।
জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক (পূর্ব বর্ধমান) প্রণব রায় বলেন, ‘‘ওই সব কর্মীরা বাড়ি-বাড়ি ঘুরে টিকা সম্পর্কিত তালিকা তৈরি করছেন। প্রথম টিকা কারা নেননি এবং দ্বিতীয় টিকা কেন নেননি, তা জানার চেষ্টা করছেন।’’ এখনও পর্যন্ত স্বাস্থ্য দফতর জানতে পেরেছে, অনেকেই প্রথম টিকা নেওয়ার পরে বাইরে কাজের জায়গায় চলে গিয়েছেন আবার অনেকে স্রেফ অনীহায় টিকা নেননি। তাঁদের সবাইকে টিকা নেওয়ার কথা বলা হচ্ছে। দুটি ডোজ় না নিলে টিকা কার্যকর নয়, বোঝানো হবে তা-ও।