Kalna

শোষক পোকা দেখতে মাঠে মন্ত্রী, প্রচারে কৃষি দফতরও

কৃষি দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, পূর্ব বর্ধমানে আমন ধান চাষ হয় তিন লক্ষ ৮০ হাজার হেক্টর জমিতে। ১৫ নভেম্বরের মধ্যে ধান পোঁতার কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। তবে তা হয়নি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কালনা শেষ আপডেট: ১২ নভেম্বর ২০২২ ০৬:৫৭
Share:

রায়না ২ ব্লকের কামারহাটি এলাকায় খেত পরিদর্শন মন্ত্রীর। নিজস্ব চিত্র

বাদামি শোষক পোকার হামলা দেখা দিয়েছে জেলার নানা প্রান্তে। এই পরিস্থিতিতে চাষিদের সতর্ক করতে নামল কৃষি দফতর। দুয়ারে সরকারের শিবির-সহ নানা জায়গায় চাষিদের সতর্ক করে লিফলেট বিলি করা হচ্ছে।

Advertisement

কৃষি দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, পূর্ব বর্ধমানে আমন ধান চাষ হয় তিন লক্ষ ৮০ হাজার হেক্টর জমিতে। ১৫ নভেম্বরের মধ্যে ধান পোঁতার কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। তবে তা হয়নি। বৃষ্টির কারণে বহু এলাকায় ধান চাষ শুরু করতে দেরি হয়। কৃষি দফতরের দাবি, জেলায় তিন লক্ষ ৭৪ হাজার হেক্টর জমিতে ধান চাষ হয়েছে। কৃষি কর্তারা জানান, দেরি করে ধান চাষ হওয়ায় ও এখনও ঠিকঠাক শীত না পড়ায় বাদামি শোষক পোকার হামলা এ বার বেশি। এই পোকা গাছের গোড়ায় হামলা করে রস শুষে নেয়। ঝলসে যায় গাছ। কৃষি কর্তাদের পরামর্শ, ১৫টি ধানের গুছির মধ্যে পরপর তিনটি গুছিতে দশটির বেশি পোকা থাকলে চাষিদের দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। এ ক্ষেত্রে, ১) আক্রান্ত খেতের জল বার করে প্রতি ৭-৮ লাইন অন্তর ঠেলা দিয়ে গাছের গোড়ায় আলো-বাতাস ঢোকার ব্যবস্থা করতে হবে। ২) ৮০ শতাংশ ধান পেকে গেলে দ্রুত কেটে খামারে তুলতে হবে। ৩) কীটনাশক প্রয়োগ করলে গাছের গোড়া থেকে দিতে হবে। ৪) আল থেকে চক্রাকারে স্প্রে করে জমির ভিতরে আসতে হবে। শেষে আক্রান্ত জায়গায় স্প্রে করতে হবে। ৫) পোকার আক্রমণ আর্থিক ক্ষতির সীমানা অতিক্রম করলে অ্যাসিফেট, ইমিডাক্লোপিড ও বুপ্রোজেনের মিশ্রণ ছড়াতে হবে জমিতে।

কৃষি দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, বীরভূম, পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, হুগলিতেও বাদামি শোষক পোকার হামলার মাত্রা বাড়ছে। জেলার এক সহ কৃষি অধিকর্তা পার্থ ঘোষ বলেন, ‘‘বর্তমান আবহাওয়া বাদামি শোষক পোকার পক্ষে আদর্শ। এই পরিস্থিতিতে কী ভাবে পোকার হামলা থেকে চাষিরা জমি রক্ষা করতে পারবেন, তা নিয়ে প্রত্যন্ত এলাকাতেও প্রচার চালানো হচ্ছে।’’

Advertisement

শুক্রবার দক্ষিণ দামোদর এলাকায় জমি পরিদর্শন করেন পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার। সঙ্গে ছিলেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি শম্পা ধাড়া। রায়না ২ ব্লকের কামারহাটি মৌজার চাষিদের সঙ্গেও কথা বলেন তাঁরা। সভাধিপতি বলেন, ‘‘পোকার আক্রমণ থেকে কী ভাবে ধান রক্ষা করা যাবে এবং চাষিদের কী সমস্যা রয়েছে, তা নিয়ে আলোচনা করেন মন্ত্রী।’’

প্রদীপ মজুমদার বলেন, ‘‘কী ধরনের ওষুধ প্রয়োগে চাষিরা সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন, তা নিয়ে আলোচনা হয়। বিষয়টি নিয়ে প্রদর্শন ক্ষেত্র করা যায় কি না, সেই আলোচনাও চলছে।’’ বৃহস্পতিবারও কৃষি দফতরের একটি দল জেলার বেশ কিছু জায়গা পরিদর্শন করে। দলে থাকা সহ কৃষি অধিকর্তা সুকান্ত মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘যাঁরা পদ্ধতি মেনে (যেমন জিরো টিলেজ, ড্রামসিডার) চাষ করেছেন, সেই সমস্ত জমিতে শোষক পোকার প্রকোপ কম।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement