প্রতীকী ছবি।
পশ্চিম বর্ধমানে সিপিএম পরিচালিত একমাত্র পঞ্চায়েত, রানিগঞ্জের আমরাসোঁতার প্রধান নিনেশ বাউড়ি রবিবার তৃণমূলে যোগ দেওয়ার কথা জানালেন। এ দিন আসানসোলের আপকার গার্ডেনে মন্ত্রী মলয় ঘটক তাঁর কার্যালয়ে নিনেশের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন বলে তৃণমূল
নেতৃত্ব জানিয়েছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৮-র পঞ্চায়েত ভোটে পাঁচটি সংসদ নিয়ে তৈরি এই পঞ্চায়েতটিতে সিপিএম এবং তৃণমূল যথাক্রমে চারটি ও একটি আসনে জেতে। মাসখানেক আগে সিপিএমের দুই নির্বাচিত সদস্য মুন্নি বেগম ও সীমা বাউড়ি তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন। তার পরে থেকে, একমাত্র পঞ্চায়েতটিও সিপিএমের হাতছাড়া হওয়া স্রেফ সময়ের অপেক্ষা ছিল বলে দাবি করেছিলেন তৃণমূল নেতৃত্ব। শেষমেশ, প্রধানও তৃণমূলে যোগ দিলেন। এই মুহূর্তে সিপিএমের থেকে নির্বাচিত সদস্যদের মধ্যে একমাত্র লক্ষ্মী হেমব্রমই ওই
দলে রয়েছেন।
কিন্তু কেন এই দলবদল, তা নিয়েই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। নিনেশের এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া, “আমাকে সিপিএম প্রার্থী হিসেবে মানুষ নির্বাচিত করেছিলেন, এটা ঠিক। কিন্তু সিপিএমের দু’জন সদস্য তৃণমূলে যোগ দেওয়ার কারণে, আমিও সেই পথে হাঁটলাম।” তৃণমূলের অন্যতম রাজ্য সম্পাদক ভি শিবদাসন বলেন, “সিপিএমের নেতৃত্বহীনতায় তিতিবিরক্ত হয়ে ওদের বহু নেতা-কর্মী আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন।”
তবে, এ দিনের দলবদল প্রসঙ্গে রানিগঞ্জের সিপিএম নেতা তথা প্রাক্তন বিধায়ক রুনু দত্তের প্রতিক্রিয়া, “নিনেশ, সীমা ও মুন্নি কোনও কিছুর বিনিময়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন বলে জানতে পেরেছি। ওঁরা বেশ কয়েক মাস ধরেই তৃণমূলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছিলেন।” যদিও, অভিযোগ অস্বীকার করে ওই তিন জনেরই কার্যত এক সুরে প্রতিক্রিয়া, “কোনও কিছুর বিনিময়ে নয়, বরং পঞ্চায়েত এলাকার সামগ্রিক উন্নয়নের লক্ষ্যেই আমাদের এই সিদ্ধান্ত। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্ব এবং কাজের প্রতি আকৃষ্ট হয়েই তৃণমূলে যোগ দিয়েছি।”