পিছিয়ে বর্ধমান। প্রতীকী চিত্র।
প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার প্রথম পর্যায়ে (আবাস সফ্ট) এখনও ২,১৩৮টি বাড়ি সম্পূর্ণ হয়নি পূর্ব বর্ধমানে। তার কারণ খুঁজতে আজ, বৃহস্পতিবার দুপুরে বৈঠকে বসবেন জেলার প্রশাসনিক কর্তারা। সোমবার ও ২১ জুন ওই সব বাড়িগুলি সরেজমিন পরিদর্শন করে জেলা প্রশাসনকে রিপোর্ট দেবেন বিডিও-রা। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার দ্বিতীয় পর্যায়ের (আবাস প্লাস) তালিকায় নাম থাকা অস্থায়ী পরিযায়ী শ্রমিক, জমিহীনদের বাসস্থানও সরেজমিন পরিদর্শন করা হবে। ব্লক থেকে আসা রিপোর্ট দেখে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে দাবি জেলা প্রশাসনের।
কয়েক দিন আগে পঞ্চায়েত সচিব আবাস প্রকল্প নিয়ে কী করণীয়, তা নিয়ে নির্দিষ্ট ক্যালেন্ডার তৈরি করে জেলায় পাঠিয়েছিলেন। প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, সেখানে পঞ্চায়েত ধরে ‘আবাস প্লাস’-এ অনুমোদনহীন উপভোক্তাদের নামের তালিকা তৈরির নির্দেশ রয়েছে। পঞ্চায়েত ধরে আবাস সফ্ট প্রকল্পে অসম্পূর্ণ বাড়ির তালিকা তৈরির কথাও বলা হয়েছে। ব্যাঙ্ক, ভূমি দফতর, পরিদর্শকদের সঙ্গে কথা বলে বাড়ি বাড়ি পরিদর্শন করা, কিস্তির জন্য কারও বাড়ি অসম্পূর্ণ থাকলে সরেজমিন পরিদর্শনের পরে তা মিটিয়ে দেওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, আবাস সফটে ২,১৩৮টি বাড়ি এখনও অসম্পূর্ণ পড়ে রয়েছে। এর মধ্যে ভাতারে ৫৫২টি, মেমারি ১ ব্লকে ২১৬টি ও রায়না ১ ব্লকে ২২৩টি বাড়ি অসম্পূর্ণ রয়েছে। ৫ জুলাইয়ের মধ্যে পরিদর্শন ও কিস্তি দেওয়ার পরে বাড়ি তৈরি কতটা হয়েছে, তার ছবি পোর্টালে ‘আপলোড’ করতে বলা হয়েছে। ১২ জুলাইয়ের মধ্যে সমস্ত প্রক্রিয়া শেষ করার নির্দেশ রয়েছে জেলা প্রশাসনের। এ ছাড়াও, আবাস প্লাসের তালিকায় নাম থাকা উপভোক্তাদের আধার সংযোগে জোর দেওয়া হচ্ছে। পূর্ব বর্ধমানে প্রায় তিন হাজার উপভোক্তার আধার সংযোগ হয়নি। প্রশাসনের এক আধিকারিকের কথায়, ‘‘আধার সংযোগেও ভাতার-সহ বেশ কয়েকটি ব্লক পিছিয়ে রয়েছে। ওই সব ব্লকগুলির দাবি, আধার কার্ড তৈরি বা সংশোধন করার জায়গা কোথাও একটি, আবার কোথাও নেই। ভিড়ে, গরমে অনেকেই সেখানে যেতে চাইছেন না। এ দিন ঠিক হয়েছে, ওই সব কেন্দ্র থেকে নির্দিষ্ট দিন নিয়ে পঞ্চায়েত ধরে উপভোক্তাদের নিয়ে গিয়ে আধার সংযোগ শেষ করতে হবে।’’
জমি না থাকায় আবাস প্লাসে নাম অনুমোদন হয়নি, এমন বেশ কিছু উপভোক্তাও পূর্ব বর্ধমানে রয়েছেন। তাঁদের জেলা প্রশাসন সরকারি জমি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। মাঝপথে কেন্দ্রের নির্দিষ্ট পোর্টাল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ৭৯ জনকে সরকারি জমি দেওয়ার পরে সেই কাজে ঢিলেমি দেখা দেয় বলে অভিযোগ। ফের কাজ এগোতে ব্লক স্তরে ভূমি দফতরের সঙ্গে বৈঠক করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।