Farmers Protest

ক্ষতিপূরণ চেয়ে অবরোধ মেমারির আলু চাষিদের

২০২২ সালের মে মাসে পূর্ব বর্ধমানের রসুলপুরে তিরুপতি হিমঘরে থাকা আলু পচে নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। চাষিদের অভিযোগ, হিমঘরের গাফিলতিতেই ১,১৫,৬৬৩ প্যাকেট আলু নষ্ট হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মেমারি শেষ আপডেট: ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০৫:২৩
Share:

তখনও চলছে বিক্ষোভ। নিজস্ব চিত্র

আলুর ক্ষতিপূরণ না পেয়ে ফের বিক্ষোভ দেখালেন চাষিরা। বুধবার মেমারির ওই চাষিরা হিমঘরের সামনের গেটে বাঁশ দিয়ে ব্যারিকেড করে অবরুদ্ধ করে দেন বলে অভিযোগ। বর্ধমানে মুখমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশাসনিক সভা করতে আসার আগের দিন কার্জন গেট চত্বরেও আলুর ক্ষতিপূরণের দাবিতে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। তাঁদের দাবি, বিক্ষোভ, আর্জিতেও সুরাহা মেলেনি। তাই এই কর্মসূচি।

Advertisement

২০২২ সালের মে মাসে পূর্ব বর্ধমানের রসুলপুরে তিরুপতি হিমঘরে থাকা আলু পচে নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। চাষিদের অভিযোগ, হিমঘরের গাফিলতিতেই ১,১৫,৬৬৩ প্যাকেট আলু নষ্ট হয়। ক্ষতিপূরণের দাবিতে ওই সময়ে আন্দোলন শুরু করেন তাঁরা। দুর্গাপুরের সভা থেকে জেলা প্রশাসনকে সমস্যা মেটানোর নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চাষি ও হিমঘর কর্তৃপক্ষকে নিয়ে একাধিক বার জেলা প্রশাসন বৈঠকে বসে। তবে সমাধান সূত্র মেলেনি। ক্ষতিপূরণ না দিয়ে হিমঘর কর্তৃপক্ষ হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। চাষিরা জানান, ৮৯০ টাকা প্রতি প্যাকেটে ক্ষতিপূরণ নির্ধারিত হলেও এখনও পর্যন্ত ২৫৯ টাকা করে পেয়েছেন তাঁরা। দশ মাস পেরিয়ে গেলেও টাকা না পেয়ে এ দিন রসুলপুরে অবরোধ করেন তাঁরা।

এ দিন বিকেলে ‘রসুলপুর কৃষি সংহতি মঞ্চ’ ব্যানারে জিটি রোড অবরোধ করেন প্রায় ২৫টি গ্রামের চাষিরা। ঘণ্টা দুয়েক অবরোধ চলে। যানজট হয়। পৌঁছয় বিশাল পুলিশ বাহিনী। এক চাষি জহর দত্তের দাবি, রসুলপুর এলাকার রাজপুর, তেলসারা, ছোট মশাগড়িয়া, চাকনাড়া, উলোরা-সহ প্রায় ২৫টি গ্রামের ১৮০০ চাষি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। ক্ষতিপূরণ না পেলে হিমঘর খুলতে দেওয়া হবে না, হুঁশিয়ারি তাঁদের। হিমধর কর্তৃপক্ষ কিছু বলতে চাননি। জেলা প্রশাসনের দাবি, বিষয়টি নজরে রাখা হচ্ছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement