দুর্গাপুরের ৯ নম্বর ওয়ার্ডে দেখা গিয়েছে এই পোস্টার। নিজস্ব চিত্র
এক তৃণমূল নেতা ও তাঁর অনুগামীর বিরুদ্ধে ‘তোলাবাজি’র অভিযোগ উঠেছিল বুধবার। বৃহস্পতিবার সকালে তাঁদের নামে ‘কাটমানি’ ফেরতের দাবিতে পোস্টার পড়ল দুর্গাপুরে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূল নেতা। এর পিছনে দলের গোষ্ঠীকোন্দল থাকতে পারে বলে মনে করছেন তৃণমূলেরই একাংশ।
সম্প্রতি দুর্গাপুরের ১ নম্বর ব্লক কমিটি ভেঙে দেন দলের জেলা সভাপতি জিতেন্দ্র তিওয়ারি। ডিএসপি-র আইএনটিটিইউসি নেতা জয়ন্ত রক্ষিতকে অন্যতম আহ্বায়ক করে দলের কাজ পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয়। বুধবার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সেকেন্ডারি রোড এলাকার মাছ ব্যবসায়ী শ্যামাপদ ধীবর মহকুমাশাসকের কাছে অভিযোগ করেন, ব্যবসার জন্য মাসে-মাসে তাঁকে সাতশো টাকা করে দিতে হয় জয়ন্তবাবু ও তাঁর অনুগামী রজত সেনকে। গত ছ’মাস তিনি তা দিয়ে আসছেন। চলতি মাসে টাকা দিতে দেরি হওয়ায় বুধবার সকালে রজতবাবু তাঁকে গালিগালাজ করেন ও হুমকি দেন বলে অভিযোগ ওই ব্যবসায়ীর। মহকুমাশাসক অনির্বাণ কোলে আশ্বাস দেন, পুলিশকে ব্যবস্থা নিতে বলা হবে।
বৃহস্পতিবার ওই ওয়ার্ডের বিভিন্ন জায়গায় লাল কালিতে হাতে লেখা পোস্টার পড়ে। তাতে জয়ন্তবাবু ও রজতবাবুকে কাটমানি ফেরত দিতে হবে বলে দাবি করা হয়। এমনকি, তৃণমূলের কার্যালয়ের দেওয়ালেও পোস্টার পড়ে। রজতবাবুর সঙ্গে চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা যায়নি। তবে জয়ন্তবাবু বলেন, ‘‘কীসের কাটমানির কথা বলা হচ্ছে জানি না। ওই মাছ ব্যবসায়ীকেও আমি চিনি না। আমি ডিএসপিতে চাকরি করি। রজতবাবু ইসিএলে চাকরি করেন। রজতবাবুর সঙ্গে আমার এ নিয়ে কথা হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, ওঁর একটি দোকান ছিল। সেখানে ব্যবসা করা বাবদ মাছ ব্যবসায়ীর কাছে ভাড়া নেন। সে নিয়েই বিবাদ। আমার নাম কী করে উঠল, বুঝতে পারছি না।’’
কাউন্সিলর রিনা রায় বলেন, ‘‘ওই মাছ ব্যবসায়ী আমাকেও অভিযোগ জানিয়েছেন। কেউ তোলাবাজির সঙ্গে যুক্ত থাকলে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে। দল তোলাবাজি বরদাস্ত করে না।’’ তৃণমূলের একাংশের মতে, জয়ন্তবাবু সংগঠনে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পাওয়ায় দলের কিছু লোকজন খুশি নন। এই ঘটনার পিছনে তাঁদের থাকতে পারে বলে দাবি তাঁদের। জয়ন্তবাবুরও বক্তব্য, ‘‘হতে পারে কেউ ঈর্ষার বশে এ সব ঘটিয়েছে। তবে তাতে লাভ হবে না।’’