পড়েছে এই পোস্টার। নিজস্ব চিত্র
তৃণমূলের কালনা-১ ব্লক সভাপতি শান্তি চালের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ সংবলিত পোস্টার ও ব্যানার পড়েছে কালনা ১ ব্লকের বুলবুলিতলা বাজার, ধাত্রীগ্রাম, সুলতানপুর-সহ বেশ কিছু এলাকায়। সোমবার সকালে সেগুলি প্রকাশ্যে আসার পরে, এলাকায় শোরগোল তৈরি হয়। এর নেপথ্যে কারা রয়েছে, তা দলীয় নেতৃত্বের কাছে পরিষ্কার নয়। পোস্টারগুলি দেওয়া হয়েছে ‘কালনা ১ নং তৃণমূল কংগ্রেস, দাদার অনুগামীবৃন্দের’ নামে। বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে নারাজ তৃণমূল নেতৃত্ব এবং শান্তিবাবু। ব্লক সভাপতির প্রতিক্রিয়া, ‘‘মনে হচ্ছে না, এর সঙ্গে আমাদের দলের কেউ জড়িত।’’
কালনা ১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ছিলেন শান্তিবাবু। তিনি প্রাণিসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী স্বপন দেবনাথের ‘ঘনিষ্ঠ’ বলে দলে পরিচিত। বিধানসভা ভোটের আগে, তাঁকে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি করা হয়। ওই পোস্টার এবং ব্যানারগুলিতে লেখা হয়েছে, শান্তিবাবুকে ব্লক সভাপতি মানা যাবে না। ব্যানারগুলি প্রকাশ্যে আসার পরে দৃশ্যতই অস্বস্তিতে পড়ে যান ব্লক নেতৃত্ব। খবর যায় জেলা নেতৃত্বের কাছে।
তৃণমূলের স্থানীয় নেতৃত্বের একাংশ মনে করছেন, সম্প্রতি দু’টি পঞ্চায়েত এলাকায় দলর অঞ্চল সভাপতি পদে রদবদল হয়। নতুন সভাপতির হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেন শান্তিবাবু। রদবদল নিয়ে ওই দুই এলাকায় দলের নেতাদের একাংশের মধ্যে ‘দ্বন্দ্ব’ রয়েছে। তার জেরেই পোস্টারগুলি পড়েছে। এলাকার এক নেতা বলেন, ‘‘অঞ্চল সভাপতি পদে রদবদলের পরে, ওই এলাকার বেশ কয়েকজন নেতা শান্তিবাবুর উপরে ক্ষুব্ধ ছিলেন।’’ পোস্টারে যে সব অভিযোগের কথা লেখা হয়েছে, সেগুলির কোনও ভিত্তি নেই বলে দাবি করেছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। তবে এ নিয়ে পুলিশের কাছে সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি শাসক দলের তরফে।
শান্তিবাবুর বক্তব্য, ‘‘আমার বিরুদ্ধে কারও ক্ষোভ থাকলে, দলের কাছে নিশ্চয়ই তাঁরা জানাতেন। তাই এর সঙ্গে দলের কোনও যোগ আছে বলে মনে হয় না।’’ পোস্টারগুলি যারা দিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হবে কিনা জানতে চাওয়ায় তিনি বলেন, ‘‘আমি দলেরই প্রতিনিধি। এই বিষয়ে যা করার, তা দলই করবে।’’ জেলা তৃণমূলের এক নেতা বলেন, ‘‘ব্লক সভাপতির বিরুদ্ধে এ ধরনের পোস্টার দল ভাল ভাবে নিচ্ছে না। দলীয় স্তরে এর তদন্ত শুরু হয়েছে। যদি দেখা যায় দলের কে বা কারা ওই ঘটনা ঘটিয়েছে, তবে সংশ্লিষ্টের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’