এই সেই পোস্টার। নিজস্ব চিত্র
‘কাটমানি’ ফেরত চেয়ে পোস্টার পড়েছে বর্ধমান শহরের ভাতছালার রাধারানি স্টেডিয়ামের কাছে। সোমবার রাতে পোস্টারটি দেখা যায়। মঙ্গলবার ভোর হওয়ার আগেই তা ছিঁড়েও দেওয়া হয়। তার মধ্যেই ছবি, ভিডিয়ো করে রাখেন কেউ কেউ। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, খবরের কাগজের উপর আলতা দিয়ে লেখা ছিল, ‘তোলাবাজির টাকা সনৎ তুই ফেরৎ দে’। তাঁদের অনুমান, ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলর সনৎ বক্সীর নামেই পড়েছে পোস্টার।
সনৎবাবুর অবশ্য দাবি, “সোশ্যাল মিডিয়া বা রাতের অন্ধকারে পোস্টার না সাঁটিয়ে সরাসরি আমার সঙ্গে দেখা করে টাকা চাইতে পারত। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মতো থানা বা অন্য কোনও জায়গায় অভিযোগ করতে পারত। মদ খেয়ে অসামাজিক লোকজন ওই সব কাজ করছে। ভাল ছেলের বদনাম করতে চাইছে কেউ কেউ।’’
মঙ্গলবার দুপুরেই আবার বর্ধমান উন্নয়ন সংস্থার ইঞ্জিনিয়ররা সংস্থার চেয়ারম্যান তথা বর্ধমান দক্ষিণের বিধায়ক রবিরঞ্জন চট্টোপাধ্যায়ের কাছে অভিযোগ করেন, বাঁকার পাড় দখল করে বাড়ি তৈরি হওয়ায় ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডে বীরহাটা সেতুর নীচ থেকে ‘অবসরিকা’ পার্কের পাশ দিয়ে যাওয়া রাস্তার কাজ আটকে রয়েছে। সংস্থার ঘরে বসেই রবিরঞ্জনবাবু বলেন, “টাকা নিয়ে লোক বসাতে কত বার বারণ করেছিলাম। আমার কথা শুনল না। উন্নয়নের কাজ আটকে গেল!” পাশে বসেছিলেন আর এক প্রাক্তন কাউন্সিলর খোকন দাস। তিনিও বিধায়কের কথায় সায় দেন। নেতারা স্পষ্ট করে না বললেও অনেকেই মনে করছেন, এ ক্ষেত্রেও নিশানা ছিলেন সনৎবাবু।
বাঁকা নদীর পাড়ের এই এলাকা দখল করেই বাড়ি তৈরির অভিযোগ। নিজস্ব চিত্র
বীরহাটা সেতুর নীচে বাঁকা নদীতে সৌন্দর্য্যায়নের কাজ করছে বিডিএ। তারই একটি অংশ হল ওই পার্ক ও উৎসব ময়দানের পিছন দিয়ে বীরহাটা সেতু থেকে বাঁকার পাশ দিয়ে ৭০০ মিটার চওড়া রাস্তা। অভিযোগ, ওই রাস্তার মাঝে বাঁকার পাড় দখল করে একের পর এক অস্থায়ী বাড়ি তৈরি হওয়াতেই আটকে গিয়েছে প্রকল্পের কাজ। রবিরঞ্জনবাবু বলেন, “বাঁকার পাড় দখল করার জন্যে প্রকল্পের কাজ আটকে গিয়েছে। পরের সপ্তাহে আমি সেখানে যাব। ওই এলাকার প্রাক্তন কাউন্সিলরকেও যাওয়ার জন্যে বলা হবে।’’
প্রাক্তন কাউন্সিলর অবশ্য টাকা নিয়ে লোক বসানোর কথা মানতে চাননি। তিনি বলেন, “বাঁকার পাড়ে টাকা নিয়ে লোক বসিয়েছি, এক জনও বললে তার টাকা ফেরত দিয়ে দেব। বিধায়ক ডাকলেই আমি যাব।’’