সাংবাদিক বৈঠকে খোকন দাস। নিজস্ব চিত্র
ভোট পরবর্তী হিংসা মামলার তদন্তে বর্ধমান দক্ষিণের বিধায়ক খোকন দাস-সহ তিন জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করল সিবিআই। বৃহস্পতিবার তাঁদের অস্থায়ী ক্যাম্পে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তবে তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে খুশি নয় বিজেপি। দুর্গাপুর পশ্চিমের বিজেপি বিধায়ক লক্ষ্মণ ঘোডুইয়ের দাবি, দ্রুত তদন্ত শেষ করুক কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা।
এই মামলার তদন্তে সিবিআই দুর্গাপুর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজিতে অস্থায়ী ক্যাম্প করেছে। সেখানে ডেকেই জিজ্ঞাসাবাদ চালানো হয়। বৃহস্পতিবার তৃণমূলের ওই বিধায়ক খোকনকে ছাড়াও ডেকে পাঠানো হয় বীরভূম জেলা পরিষদের সভাধিপতির আপ্তসহায়ক দীপক রায় এবং বাঁকুড়া জেলার সমাজকর্মী অনিমেষ কোঙারকে। খোকনকে দু’ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
পরে তিনি বলেন, বিধানসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণার দিন বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে ফোন করেছিলেন তিনি। সে কারণেই তাঁকে সিবিআই তলব করেছে। সিবিআই আধিকারিকদের তিনি বলেন, বিধানসভা নির্বাচনে বর্ধমান দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রে জয়লাভ করার জন্য অনুব্রত সেদিন তাঁকে অভিনন্দন জানিয়েছিলেন।
ভোটের ফল ঘোষণার দিন বীরভূমের ইলামবাজারে রাজনৈতিক অশান্তি হয়। এই নিয়ে সিবিআই তাঁকে জিজ্ঞাসা করলে বিধায়ক বলেন, ‘‘ওই দিন বীরভূম জেলায় কী হয়েছিল তা আমি জানি না। আমি তো বর্ধমান জেলার বাসিন্দা।’’
তবে তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে সিবিআইকে তোপ দেগেছেন দুর্গাপুর পশ্চিমের বিজেপি বিধায়ক। তাঁর কথায়, ‘‘প্রতিটি দুর্নীতির সঙ্গে যুক্তদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিক সিবিআই।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘পুরসভা ভোটের সময় ওই এলাকায় বিজেপির কোনও ব্যানার এবং দলীয় পতাকা দেখা যায়নি । তৃণমূল নেতারা বাইক নিয়ে তাণ্ডব চালিয়েছেন। বাংলায় এত ঘটনা ঘটছে, তবুও কেন গ্রেফতার করা হচ্ছে না তৃমমূল নেতাদের?’’
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।