Durgapur

বেহাল গ্যামন ব্রিজ, দাবি নতুন সেতুর

ডিএসপি টাউনশিপ, সিটি সেন্টার-সহ শহরের একটি বড় অংশের মানুষজন দুর্গাপুর স্টেশন যেতে গ্যামন ব্রিজ ব্যবহার করেন। বিসি রায় রোড গিয়েছে ব্রিজের উপর দিয়ে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

দুর্গাপুর শেষ আপডেট: ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২২ ০৯:৫২
Share:

এমনই হাল গ্যামন ব্রিজের ফুটপাতের। নিজস্ব চিত্র

হাওড়া-দিল্লি রেললাইনের উপরে দুর্গাপুরের গ্যামন ব্রিজের বেহাল দশা। দ্রুত সেতুর আমূল সংস্কারের দাবি উঠেছে শহরে। ২০১২ সালে বিকল্প নতুন সেতু গড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল। কিন্তু তা শেষ পর্যন্ত কার্যকর হয়নি। অবিলম্বে বিকল্প সেতু নির্মাণের ব্যাপারে নতুন করে চিন্তাভাবনার দাবি তুলেছেন শহরবাসীর একাংশ।

Advertisement

ডিএসপি টাউনশিপ, সিটি সেন্টার-সহ শহরের একটি বড় অংশের মানুষজন দুর্গাপুর স্টেশন যেতে গ্যামন ব্রিজ ব্যবহার করেন। বিসি রায় রোড গিয়েছে ব্রিজের উপর দিয়ে। নীচ দিয়ে চলে গিয়েছে হাওড়া-দিল্লি রেললাইন। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ব্রিটিশ আমলে শহরের জনসংখ্যা কম ছিল। তখন রেললাইনের দু’পাড়ের মধ্যে সংযোগের জন্য এক লেনের সরু সেতু গড়া হয়। দিন-দিন শহরের জনসংখ্যা বাড়ার সঙ্গে, পাল্লা দিয়ে বাড়তে থাকে যানবাহনের সংখ্যা। শেষ পর্যন্ত ষাটের দশকে ওই এক লেনের সেতুর পাশেই চওড়া দু’লেনের সেতু নির্মাণ করা হয়। অভিযোগ, ঠিকমতো দেখভালের অভাবে বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে এই সেতুটি। রেলিংয়ের অংশবিশেষ ভাঙা। ক্ষয় ধরেছে সেতুর মেঝেতে। পাশে ফুটপাথের ‘স্ল্যাব’ ভেঙে পড়েছে। যে কোনও সময়ে পা হড়কে নীচে পড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে পথচারী ও এলাকাবাসীর অনেকের দাবি।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ১৯ নম্বর জাতীয় সড়ক থেকে দুর্গাপুর স্টেশন যাওয়ার বাস, বাঁকুড়ার বড়জোড়া শিল্পতালুকের ভারী ট্রাক-সহ নানা যানবাহন চলে এই সেতু দিয়ে। ফলে, সেতুর উপরে সারা দিন ধরেই চাপ থাকে যানবাহনের। সেতু দিয়ে হেঁটে যাতায়াত করেন ডিপিএল কলোনির বাসিন্দা মালা দাশগুপ্ত। তাঁর কথায়, ‘‘যানবাহনের খুব চাপ। সে জন্য সেতুর পাশের ফুটপাথ দিয়ে যাতায়াত করতে হয়। অথচ, সেই ফুটপাথও ভাঙা। নীচে ব্যস্ত রেললাইন।’’ তিনি জানান, এলাকায় বেশ কয়েকটি স্কুল রয়েছে। পড়ুয়াদের অনেকে বিপজ্জনক ভাবে ওই সেতু দিয়েই হেঁটেযাতায়াত করে।

Advertisement

প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১২ সালে তৎকালীন কেন্দ্রীয় ‘জওহরলাল নেহরু আরবান রিনিউয়াল মিশন’ প্রকল্পে বিকল্প নতুন সেতু গড়ার আশ্বাস মিলেছিল। সে বছর জানুয়ারিতে নগরোন্নয়ন মন্ত্রক প্রকল্পের ছাড়পত্রও দেয়। কিন্তু নানা কারণে তা আর বাস্তবায়িত হয়নি। পরে প্রকল্পটিই বন্ধ হয়ে যায়। নতুন সেতু নির্মাণের উদ্যোগ তার পরে আর শুরু হয়নি। বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট সব দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ করার আশ্বাস দিয়েছেন পুরসভার ডেপুটি মেয়র তথা মেয়র পারিষদ (সড়ক) অমিতাভ বন্দ্যোপাধ্যায়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement