প্রতীকী ছবি।
জোড়া খুনের ঘটনায় ধৃত রঞ্জন রাইকে দুর্গাপুর আদালতে তুলে ট্রানজিট রিম্যান্ডে মঙ্গলবার মধ্যপ্রদেশে নিয়ে গেল সেখানকার পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মধ্যপ্রদেশের সাগর এলাকায় ১৬ জুলাই একটি গাড়ি থেকে সিমেন্ট ব্যবসায়ী ব্রজেশ চৌরাসিয়া (৪৫) ও তাঁর মেয়ে মহিমার (১৮) দেহ মেলে। ব্রজেশের স্ত্রী রাধাকে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। পুলিশ জানায়, ব্রজেশের খোয়া যাওয়া মোবাইলের খোঁজ করতে গিয়ে সেই সূত্র ধরে দুর্গাপুর থেকে রঞ্জনকে ধরা হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ঘটনার দিন সন্ধ্যায় রেস্তোরাঁয় যাওয়ার পথে একটি দোকান থেকে ঠান্ডা পানীয় কিনে খান তিন জন। পুলিশ জানায়, রাধা তাদের জানিয়েছেন, এর পরেই তিনি গাড়িতে ঘুমিয়ে পড়েন। ফরেন্সিক তদন্তে তাঁর শরীরে ঘুমের ওষুধের হদিস মেলে। গাড়ি থেকে ব্রজেশের নামে একটি ‘সুইসাইড নোট’ পায় পুলিশ। কিন্তু তাঁর মোবাইলটি ছিল না। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, মোবাইলটি রয়েছে দুর্গাপুরে। সোমবার দুর্গাপুর থানার সহযোগিতায় মধ্যপ্রদেশ সিভিল লাইন থানার পুলিশ রঞ্জনকে গ্রেফতার করে। ধৃতের ঘরে একটি ব্যাগ থেকে ব্রজেশের মোবাইল ও ৯০ হাজার টাকা পাওয়া গিয়েছে বলে দাবি পুলিশের। মধ্যপ্রদেশ পুলিশের আরও দাবি, ব্রজেশের সঙ্গে আগে থেকেই যোগাযোগ ছিল রঞ্জনের। ঘটনার দিন যে রঞ্জন সাগরে ছিল এবং ব্রজেশের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল, সেই প্রমাণও মিলেছে।
পুলিশের দাবি, প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, ব্রজেশ দেনায় ডুবেছিলেন। এক লক্ষ টাকার বিনিময়ে ‘সুপারি কিলার’ নিয়োগ করে খুন করা হয়েছিল। কে বা কারা ঘটনার পিছনে রয়েছে, ধৃত রঞ্জনকে জেরা করে সূত্র মিলবে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা।