গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে ‘মেয়েদের রাত দখল’ কর্মসূচিতে গিয়ে অঙ্কিতা বাউড়ি নামে কোনও ছাত্রী নিখোঁজ হননি। তাঁর ধর্ষণ এবং খুনের কথাও স্রেফ অপপ্রচার বলে জানাল রাজ্য পুলিশ। পাশাপাশি, সমাজমাধ্যমে যাঁরা সত্যাসত্য যাচাই-না করে এই অপপ্রচার করেছেন, জনমানসে ভুল বার্তা দিয়ে প্রভাবিত করেছেন, তাঁদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেওয়া হল শনিবার।
শুক্রবার বিকেল থেকে সমাজমাধ্যমে একটি ‘তথ্য’ ভাইরাল হয়ে যায়। সেখানে দাবি করা হয়, আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে গত ১৪ অগস্ট মিছিলে বেরিয়ে আর বাড়ি ফেরেননি জনৈকা অঙ্কিতা বাউড়ি। কেউ কেউ এ-ও লেখেন, বর্ধমান কলেজের ছাত্রী অঙ্কিতাকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। তার পর মৃতার মুখ পাথর দিয়ে থেঁতলে দেওয়া হয়েছে। ক্রমশ ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ইত্যাদি সমাজমাধ্যমে চাউর হতে থাকে ওই পোস্ট। কিন্তু, এই তথ্য সর্বৈব মিথ্যা বলে জানিয়ে দিল রাজ্য পুলিশ।
শনিবার সমাজমাধ্যমে একটি পোস্টে পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশের তরফে লেখা হয়, ‘‘কিছু মানুষ গুজব রটাচ্ছেন যে অঙ্কিতা বাউড়ি নামে একটি মেয়ে গত ১৪ অগস্ট আরজি করের ঘটনার প্রতিবাদ মিছিল থেকে বাড়ি ফেরার পথে ধর্ষিতা এবং খুন হয়েছেন। কিন্তু, বাস্তব হল, অঙ্কিতা বাউড়ি নামে বর্ধমান জেলায় কোনও মেয়ের ধর্ষণ এবং হত্যার ঘটনা ঘটেনি।’’ তার পরেই পুলিশ জানিয়েছে, যাঁরা এমন তথ্য প্রচার করেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। লেখা হয়, ‘‘যাঁরা এমন গুজব রটিয়েছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশ মহিলাদের নিরাপত্তা এবং সুরক্ষার জন্য অঙ্গীকারবদ্ধ।’’
গত শুক্রবার আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে এক চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং হত্যার ঘটনা নিয়ে রাজ্য তো বটেই, সারা দেশে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্ট মামলার তদন্তভার নিয়েছে সিবিআই। বেশ কয়েক জনকে দফতরে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।