প্রতীকী ছবি।
একতলায় থাকেন শ্বশুরবাড়ির পরিজনেরা। দোতলায় দিন পাঁচেক ধরে সাড়াশব্দ ছিল না বধূর। জামালপুরের পুলমাথা এলাকায় শনিবার দুপুরে দরজা ভেঙে ওই বধূর দেহ উদ্ধার করল পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, বছর তিরিশের দীপালি দাসের সঙ্গে আট বছর আগে ওই বাড়ির ছোট ছেলে গৌতমের বিয়ে হয়। নানা বিষয় নিয়ে ওই দম্পতির মধ্যে অশান্তি লেগে থাকত। যা নিয়ে ওই দম্পতির মধ্যে দূরত্ব তৈরি হয়েছিল। পরিবার সূত্রে জানা যায়, সোমবার ওই দম্পতির মধ্যে অশান্তি হয়। তার পরেই গৌতম তিন-চার কিলোমিটার দূরে একটি চালকলে কাজ করতে চলে যান। তার পর থেকে আর বাড়ি আসেননি। পুলিশের অনুমান, এর পরেই দরজায় তালা দিয়ে গলায় কাপড়ের ফাঁসে আত্মঘাতী হন ওই দীপালি। এ দিন সেই অবস্থাতেই দেহটি উদ্ধার করেছে জামালপুরের পুলিশ।
জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, ‘‘প্রাথমিক ভাবে আমাদের ধারণা, পারিবারিক অশান্তি থেকেই আত্মঘাতী হয়েছেন ওই মহিলা। জামালপুরের পুলিশ দরজা ভেঙে দোতলার ঘর থেকে দেহটি উদ্ধার করেছে। কিন্তু কয়েক দিন ধরে বাড়ির বধূর কোনও আওয়াজ না পাওয়া সত্ত্বেও পরিজনেরা খোঁজ নিলেন না কেন, কিছু আঁচ করতে পারলেন না, সে নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।’’
মৃতার শাশুড়ি শিখাদেবী অবশ্য দাবি করেন, গৌতম ও দীপালি দোতলায় আলাদা থাকতেন। তাঁদের মধ্যে নানা বিষয়ে অশান্তি লেগেই থাকত। চার-পাঁচ দিন ধরে ছেলে বাড়ি না আসায় তাঁরা বিষয়টি গা করেননি। তাঁর বক্তব্য, ‘‘ছেলে-বৌমা কোনও কিছুর মধ্যে থাকত না। এই অবস্থায় যেচে খোঁজ নিতে গেলে অশান্তি হতে পারে মনে করে চুপ ছিলাম। তবে দুর্গন্ধ পেয়েই পুলিশে খবর দেওয়া হয়েছে।’’ পুলিশ জানায়, শুক্রবার রাতে নর্দমা দিয়ে রক্ত বেরোতে দেখেন প্রতিবেশী এক ব্যবসায়ী। গৌতমকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।