দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়ি। নিজস্ব চিত্র
রাতে টহলে বেরনো পুলিশভ্যানের সঙ্গে মুখোমুখি ধাক্কা লাগল একটি বালি বোঝাই ট্রাকের। শনিবার মাঝ রাতে ভাতারের এরুয়ারে এই দুর্ঘটনায় আহত হন তিন পুলিশকর্মী। তাঁদের মধ্যে গুরুতর আহত দু’জনকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। পুলিশ জানায়, ট্রাকের চাকা ফেটে যাওয়ার কারণেই দুর্ঘটনা ঘটেছে। বালির ট্রাকটির মালিকের খোঁজ চলছে।
ভাতার থানা সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ তাদের টহলদার গাড়িটি বলগোনা-গুসকরা রোডে পাহারা দিচ্ছিল। গাড়িতে ছিলেন এএসআই সুশান্ত রায়, কনস্টেবল পতিতপাবন ঘোষ ও নরেশ সোনার। গাড়ি চালাচ্ছিলেন বরুণ সামন্ত। পুলিশ জানায়, ভ্যানটি এরুয়ার হাইস্কুলের দিকে যাওয়ার সময়ে গুসকরার দিক থেকে একটি বালি বোঝাই ট্রাক আসছিল। আচমকা সেটির সামনের ডান দিকের চাকা ফেটে যাওয়ায় চালক নিয়ন্ত্রণ হারায়। ট্রাকটি পুলিশভ্যানে ধাক্কা মারে। আহত হন চালক-সহ তিন পুলিশকর্মী।
স্থানীয় বাসিন্দা তথা এরুয়ার পঞ্চায়েতের সদস্য নীলকান্ত অধিকারী জানান, দুর্ঘটনার শব্দ শুনে বাসস্ট্যান্ড এলাকায় কর্তব্যরত সিভিক ভলান্টিয়ার ঘটনাস্থলে ছুটে যান। খবর পেয়ে কিছুক্ষণের মধ্যে ঘটনাস্থলে যান তাঁরাও। স্থানীয় কিছু বাসিন্দার সাহায্য নিয়ে পুলিশ দুর্ঘটনাগ্রস্তদের উদ্ধার করে। অ্যাম্বুল্যান্সে করে আহত পুলিশকর্মীদের ভাতার স্টেট জেনারেল হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়। পরে তিন জনকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চালক বরুণবাবু ও কনস্টেবল পতিতপাবনবাবুকে ভর্তি রাখা হয়েছে। এএসআই সুশান্তবাবুকে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
পুলিশ জানায়, ট্রাকটি আটক করা হয়েছে। সেটির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ঘটনার পরেই ট্রাকের চালক পালিয়ে যান। তাঁর ও ট্রাকের মালিকের সন্ধান চলছে। ট্রাকটি কোথা থেকে আসছিল, বৈধ বালি পরিবহণ হচ্ছিল কি না, তা জানার চেষ্টা চলছে বলে জানায় পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, যেখানে দুর্ঘটনাটি ঘটে, সেখানে রাস্তার ধারেই নির্মাণ সামগ্রী রাখা ছিল। সে কারণে পুলিশভ্যানের চালক দুর্ঘটনা এড়ানোর সুযোগ পাননি বলে অভিযোগ। পঞ্চায়েত সদস্য নীলকান্তবাবুর দাবি, পঞ্চায়েতের তরফে বারবার সচেতনতামূলক প্রচার করা সত্ত্বেও কিছু বাসিন্দা রাস্তার উপরেই নির্মাণ সামগ্রী রাখছেন। রবিবারও পঞ্চায়েতের তরফে এ বিষয়ে প্রচার চালানো হয়েছে বলে জানান তিনি।