দুর্গাপুরের জাতীয় সড়ক

অবরোধে অভিযুক্ত বামের দু’হাজার

শিল্প বাঁচানোর ডাক দিয়ে সিপিএমের ডাকা সভার জেরে দু’নম্বর জাতীয় সড়কের যানজটে জেলাশাসকের আটকে যাওয়ার ঘটনায় পুলিশ ছয় সিপিএম নেতা-সহ মোট ২০০৬ জন বাম কর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

দুর্গাপুর শেষ আপডেট: ৩০ জানুয়ারি ২০১৭ ০০:৫২
Share:

অবরোধে আটকে পড়ে জেলাশাসকের কনভয়। নিজস্ব চিত্র।

শিল্প বাঁচানোর ডাক দিয়ে সিপিএমের ডাকা সভার জেরে দু’নম্বর জাতীয় সড়কের যানজটে জেলাশাসকের আটকে যাওয়ার ঘটনায় পুলিশ ছয় সিপিএম নেতা-সহ মোট ২০০৬ জন বাম কর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে। রবিবার দুপুর থেকে শুরু হয়েছে ধরপাকড়। রাত পর্যন্ত পাঁচ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সিপিএমের অভিযোগ, পুলিশ বিরুদ্ধে কোনও নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে বাড়িতে ঢুকছে।

Advertisement

পুলিশ জানায়, শনিবার সন্ধ্যায় দুর্গাপুর থানায় সিটি সেন্টার ফাঁড়ির আইসি সিপিএম নেতা পঙ্কজ রায় সরকার, মহাব্রত কুণ্ডু, কবি ঘোষ, সুবীর সেনগুপ্ত, প্রাক্তন বিধায়ক গৌরাঙ্গ চট্টোপাধ্যায়, আসানসোলের সিপিএম নেতা পার্থ মুখোপাধ্যায়-সহ মোট ২০০৬ জন বাম কর্মী-সমর্থকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। তাঁদের বিরুদ্ধে জোর করে আটকে রাখা, সরকারি নির্দেশ অমান্য করা, অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র, সরকারি কাজে বাধা দেওয়া-সহ সাতটি এবং জাতীয় সড়ক আইন ৮বি ধারাতেও অভিযোগ আনা হয়েছে। রবিবার দুপুর থেকেই ধরপাকড় শুরু করে পুলিশ।

শনিবার সভার জেরে পলাশডিহা মোড়ে যানজটে আটকে পড়ে জেলাশাসক সৌমিত্র মোহনের কনভয়। কয়েক জন সিপিএম কর্মী-সমর্থককে জেলাশাসকের গাড়ি ধরে বিক্ষোভ, ধাক্কা দিতে দেখা যায় বলেও অভিযোগ। জেলাশাসক বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলতে গেলে তাঁকে লক্ষ করে কয়েক জন কটূক্তিও করেন বলে অভিযোগ।

Advertisement

এক সঙ্গে দু’হাজারেরও বেশি মানুষের বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে সরব হয়েছেন সিপিএম নেতৃত্ব। পঙ্কজবাবুর দাবি, ‘‘পুলিশের সামনেই যা হওয়ার হয়েছে। তার পরেও এমন মিথ্যা অভিযোগ মানা যায় না। শহর বাঁচাতে আন্দোলন হচ্ছে। পুলিশ ডাকলে আমরা নিজেরাই থানায় চলে যাব।’’ এক বাম নেতার দাবি, কোনও বড় গোলমাল হলেই এক মাত্র এত জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করার নজির রয়েছে। তাঁর অভিযোগ, ‘‘এমন গণ অভিযোগে শাসক দলের ইন্ধন রয়েছে।’’ দুর্গাপুরের তৃণমূল নেতা উত্তম মুখোপাধ্যায়ের পাল্টা দাবি, ‘‘আইন ভাঙলে সাজা পেতেই হবে। অন্যের দিকে আঙুল তুলে বাঁচা যাবে না।’’

যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করে এসিপি বিমল মণ্ডলের যদিও দাবি, ‘‘নিয়ম মেনেই অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তদন্ত চলছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement