Drug

২৫ কোটি টাকার মাদক-সহ ধৃতের পুলিশি হেফাজত

গোয়েন্দারা জানান, ধৃতের নাম সুনীল হাওলাদার। তার বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামে। যে গাড়ির ভিতরে লুকিয়ে ওই মাদক পাচার করা হচ্ছিল, সেই গাড়িটিও বাজেয়াপ্ত করেন তদন্তকারীরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বর্ধমান শেষ আপডেট: ০৩ মার্চ ২০২১ ০৬:৩৮
Share:

প্রতীকী ছবি।

সঙ্গীদের কাছে বিপুল পরিমাণ মাদক পৌঁছে দিতে গিয়ে গ্রেফতার হল এক পাচারকারী। সোমবার রাতে পূর্ব বর্ধমানের রসুলপুর বাজার এলাকা থেকে ওই মাদক পাচারকারীকে গ্রেফতার করেন কলকাতা পুলিশের স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্সের (এসটিএফ) গোয়েন্দারা। ধৃতে ওই ব্যক্তির কাছ থেকে পাঁচ কিলোগ্রামেরও বেশি হেরোইন উদ্ধার হয়েছে। এসটিএফের দাবি, যার বাজার মূল্য প্রায় ২৫ কোটি টাকা।

Advertisement

গোয়েন্দারা জানান, ধৃতের নাম সুনীল হাওলাদার। তার বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামে। যে গাড়ির ভিতরে লুকিয়ে ওই মাদক পাচার করা হচ্ছিল, সেই গাড়িটিও বাজেয়াপ্ত করেন তদন্তকারীরা। ওই রাতেই জিজ্ঞাসাবাদের পরে সুনীলকে গ্রেফতার করে লালবাজারে নিয়ে আসে এসটিএফ। মঙ্গলবার ধৃতকে ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হয়। তদন্তের স্বার্থে সরকারি আইনজীবী ধৃতের পুলিশি হেফাজত চেয়ে আবেদন জানান আদালতে। বিচারক সেই আবেদন মঞ্জুর করে ধৃতকে ১২ মার্চ পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।

লালবাজার সূত্রের খবর, গত ১৩ ফেব্রুয়ারি এসটিএফের গোয়েন্দারা উত্তর কলকাতার কাশীপুর থেকে মাদক-সহ একটি গাড়ি আটক করেছিলেন। ওই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছিল মোট পাঁচ জন মাদক পাচারকারীকে। ধৃতদের মধ্যে দু’জন ছিল মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা, বাকি তিন জন মণিপুর এবং অসমের বাসিন্দা। তাদের কাছ থেকে প্রায় ১০ কোটি টাকা মূল্যের হেরোইন উদ্ধার করেছিলেন তদন্তকারীরা। সে বার পাচারকারীদের সঙ্গে থাকা গাড়িটি তল্লাশি করে সাড়ে সাত কোটি টাকা মূল্যের মাদক ট্যাবলেটও উদ্ধার করা হয়েছিল।

Advertisement

তদন্তকারীরা জানান, ওই ধৃতদের জেরা করেই বর্ধমানের একটি মাদক চক্রের খোঁজ মেলে। সেই মতো গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সোমবার মেমারি থানা এলাকার রসুলপুর বাজারের কাছে একটি এসইউভি গাড়ি আটকানো হয়। তাতেই ছিল সুনীল। তাকে আটক করে গাড়ি তল্লাশি চালাতেই ওই মাদক উদ্ধার হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরেই সে মাদকের চোরা কারবারের সঙ্গে যুক্ত বলে জানা গিয়েছে। গোয়েন্দাদের দাবি, ভিন্ রাজ্য থেকে আনা ওই মাদক পাচারের জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল।

সাম্প্রতিক কালে বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে মাদক পাচারের আগেই গোয়েন্দারা তা ধরতে সক্ষম হয়েছেন। তবে সোমবারের মতো এত পরিমাণ মাদক-সহ পাচারকারী আগে ধরা পড়েনি বলেই দাবি গোয়েন্দাদের। এক গোয়েন্দা কর্তা জানাচ্ছেন, কাদের কাছ থেকে ওই মাদক এসেছিল, তার বেশ কিছু সূত্র মিলেছে। কাদের কাছে ওই মাদক পৌঁছে দেওয়া হচ্ছিল সেটারও খোঁজ চলছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement