— প্রতীকী চিত্র।
পূর্ব বর্ধমানের আদিবাসী তরুণীকে খুনের নয় দিনের মাথায় গ্রেফতার হয়েছেন মূল অভিযুক্ত। পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়া থেকে তাঁকে পাকড়াও করে পুলিশ। শনিবার সাংবাদিক বৈঠক করে পুলিশ জানাল, হত্যাকারী নিহতের পূর্বপরিচিত। তাঁরা বেঙ্গালুরুতে কাজ করতেন। এক সঙ্গেই বেঙ্গালুরু থেকে ফিরেছিলেন। খুনের নেপথ্যে কি সম্পর্কের কোনও জটিলতা ছিল? তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, সম্ভবত তা-ই। বিস্তারিত জানতে অভিযুক্তকে জেরা চলছে।
আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় গত ১৪ অগস্ট ‘রাত দখল’ কর্মসূচি নিয়েছিলেন মহিলারা। সেই রাতেই পূর্ব বর্ধমানের নান্দুরে খুন হন আদিবাসী তরুণী প্রিয়াঙ্কা হাঁসদা। ওই ঘটনার পর বিচারের দাবিতে আন্দোলনে নামেন আদিবাসীরা। শেষ পর্যন্ত মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শনিবার দুপুরে সাংবাদিক বৈঠকে অভিযুক্তকে কী ভাবে ধরা হয়েছে, সে সম্পর্কে তথ্য দেন পুলিশ সুপার আমনদীপ। তিনি বলেন, ‘‘এই হত্যা রহস্যের সমাধানে প্রথমে নয় সদস্যের সিট গঠন করে জেলা পুলিশ। পরে সেটা বেড়ে ২১ জনের দল হয়। শুক্রবার পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পাঁশকুড়া থেকে অজয় টুডুকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় তিনি পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন।’’ পুলিশ সুপার আরও জানান, অভিযুক্তের বয়স ২৬ বছর। বাড়ি পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরায়। নিহত প্রিয়াঙ্কার মতো অজয়ও কর্মসূত্রে বেঙ্গালুরুতে থাকতেন। সেখানেই দু’জনের পরিচয়। পরে তাঁরা প্রেমের সম্পর্কে ছিলেন। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে, সম্পর্কের টানাপোড়েন থেকেই এই হত্যা। আমনদীপ বলেন, ‘‘অভিযুক্ত ১৪ অগস্ট রাতে মেয়েটির সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন। দু’জনের মধ্যে বচসা হয়। তার পরেই প্রিয়াঙ্কাকে গলা কেটে খুন করেন অভিযুক্ত।’’ যদিও খুনে ব্যবহৃত অস্ত্র এখনও উদ্ধার হয়নি। অস্ত্রটি অভিযুক্ত এনেছিলেন কি না, তদন্ত চলছে। অস্ত্রটিরও খোঁজ করা হচ্ছে।
প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে, অজয় বিভিন্ন জায়গায় অস্থায়ী কাজ করতেন। শনিবারই তাঁকে আদালতে হাজির করানো হচ্ছে। পুলিশ তাঁকে ১০ দিনের জন্য হেফাজত চেয়ে আবেদন করছে। শনিবার সকালে নান্দুরে অপরাধীর গ্রেফতারের খবর যাওয়ার পর খুশি প্রিয়াঙ্কার পরিবার এবং প্রতিবেশীরা। তাঁরা সবাই চান দোষীর দ্রুত শাস্তি।