আসানসোলে প্রতিবাদ-সভায় মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। নিজস্ব চিত্র
সিপিএমের গণ সংগঠনের মিছিলে হামলা এবং কার্যালয়ে বোমাবাজি ও ভাঙচুরের ঘটনায় জড়িত অভিযোগে পুলিশ ৯ জনকে গ্রেফতার করল। ধৃতদের অধিকাংশই এলাকায় তৃণমূল কর্মী হিসেবে পরিচিত। বৃহস্পতিবার তাঁদের দুর্গাপুর আদালতে তোলা হলে ৪ দিন পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়।
আর জি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে বুধবার সিপিএমের গণ সংগঠনের মিছিল বেরোয় দুর্গাপুরের গান্ধী মোড় থেকে। বিকাল ৪টে নাগাদ মিছিলটি পুরসভার কাছে পৌঁছতেই তৃণমূল হামলা চালায় বলে অভিযোগ। ডিওয়াইএফের জেলা সম্পাদক ভিক্টর আচার্য বুধবার রাতে থানায় তৃণমূল নেতা পঙ্কজ রায় সরকার-সহ মোট ১৬ জন তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন। তাঁর অভিযোগ, পুরসভা থেকে লাঠি, রড, আগ্নেয়াস্ত্র, পাথর নিয়ে বেরিয়ে মিছিলে হামলা চালানো হয়। অনেকে রক্তাক্ত হন। কারও দাঁত ভেঙেছে, কারও আঙুলের হাড় ভেঙেছে। মহিলাদের সঙ্গে অশালীন আচরণের অভিযোগও জানিয়েছেন তিনি। প্রাক্তন সিপিএম বিধায়ক বিপ্রেন্দু চক্রবর্তী পৃথক ভাবে ওই ১৬ জনের নামে দলীয় কার্যালয়ে ভাঙচুর ও বোমাবাজির অভিযোগ করেছেন। তাতে তিনি যে কোনও মুহূর্তে ফের হামলা হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন।
বুধবার রাতেই পুলিশ ঘটনায় জড়িত অভিযোগে মোট ৯ জনকে গ্রেফতার করে। পুলিশ সূত্রের দাবি, তাঁদের মধ্যে তৃণমূলের ৫ জন এবং সিপিএমের ৪ জন রয়েছেন। তৃণমূলের এক প্রাক্তন পুর প্রতিনিধির ছেলেও রয়েছেন ধৃতদের তালিকায়। এ দিন আদালতে নিয়ে যাওয়ার পথে ধৃতদের এক জনের দাবি, ‘‘আমি কিছু জানি না। ঘটনাস্থলে ছিলাম না। কাজ সেরে রাতে বাড়ি ফেরার পরে পুলিশ তুলে নিয়ে আসে।’’ ধৃতদের নাম তাঁদের দায়ের করা অভিযোগে নেই বলে জানিয়েছেন প্রাক্তন সিপিএম বিধায়ক বিপ্রেন্দু। তিনি বলেন, ‘‘পুলিশকে দেখাতে হবে কিছু করেছি, তাই ৯ জনকে ধরেছে। আবার যাঁদের সিপিএম বলে দেখানো হচ্ছে, তাঁদের আমরা চিনি না। সবটাই ধোঁয়াশা।’’
পুলিশের যদিও দাবি, ঘটনার তদন্ত করে এবং সিসিটিভি ফুটেজের সূত্র ধরে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়েছে। আরও কেউ জড়িত থাকলে তাঁদেরও গ্রেফতার করা হবে। ডিসি (পূর্ব) অভিষেক গুপ্ত জানান, পুলিশ স্বতঃপ্রণোদিত একটি মামলা করেছে। এ ছাড়া, আরও দু’টি মামলা হয়েছে। তিনটি মামলারই তদন্ত চলছে।