—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
পরিচয় গোপন করে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে যুবতীর সঙ্গে সহবাস এবং তাঁর সম্পর্কে অন্যদের আপত্তিকর মেসেজ পাঠানো এবং লিফলেট ছড়ানোর অভিযোগে দু’জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। পূর্ব বর্ধমানের ভাতার থানার ঘটনা। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতদের নাম শেখ কাদের ওরফে মটর এবং শেখ রাজেন। দেওয়ানদিঘি থানা এলাকায় কাদেরের বাড়ি। রাজিপুরে থাকেন রাজেন। সোমবার রাতে তাঁদের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃতদের কাছ থেকে দু’টি মোবাইল বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি এলাকায় ছড়ানো কয়েকটি আপত্তিকর লিফলেট বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, বছর দেড়েক আগে এক আত্মীয়ের মাধ্যমে নির্যাতিতার সঙ্গে কাদেরের পরিচয় হয়। দু’জনের মধ্যে ক্রমে ঘনিষ্ঠতা বৃদ্ধি পায়। নিয়মিত মোবাইলে কথাবার্তা হত তাঁদের। অভিযোগ, যুবতীকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দেন কাদের। বর্ধমান শহরের একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে কাজের ব্যবস্থাও করে দেন। কাজের সূত্রে বর্ধমান শহরের কেষ্টপুর অঞ্চলে থাকার ব্যবস্থা করে দেন। অভিযোগ, তার পর বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে যুবতীর সঙ্গে একাধিক বার সহবাস করেন কাদের। কিন্তু কিছু দিন পর ওই যুবতী জানতে পারেন যে, তাঁর ‘প্রেমিক’ বিবাহিত। তাঁদের এক সন্তানও রয়েছে। এই কারণে তিনি সম্পর্কে ভেঙে বেরিয়ে আসেন। অন্যত্র বিয়েও ঠিক হয় তাঁর।
কিন্তু কাদের এই বিচ্ছেদ মেনে নিতে পারেননি। ‘প্রেমিকা’র বিয়ে ঠিক হওয়ার খবর পেয়ে তাঁর হবু স্বামী এবং ভাইয়ের মোবাইলে অশ্লীল কিছু মেসেজ পাঠাতে থাকেন কাদের। এমনকি, যুবতীর হবু স্বামীকে প্রাণনাশের হুমকিও দেন বলে অভিযোগ। এর মধ্যে গত বছরের ১৫ জুলাই যুবতীর বিয়ে হয়ে যায়। কিন্তু প্রাক্তন প্রেমিকার বিয়ের পর এলাকায় অশ্লীল মন্তব্য লেখা লিফলেট ছড়ান কাদের। যুবতীর স্বামীকেও এই রকম কিছু লিফলেট পাঠানো হয় বলে অভিযোগ। সেই সঙ্গে যুবতীর কাছে কয়েক লক্ষ টাকা দাবি করেন অভিযুক্ত।
শনিবার গ্রামের বিভিন্ন জায়গায় এমন আপত্তিকর লিফলেট দেখে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ওই যুবতী। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে ধর্ষণ, তোলাবাজি, ভুয়ো পরিচয় দেওয়া এবং হুমকি দেওয়ার ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে। ওই যুবকের সঙ্গে সঙ্গ দেওয়ার অভিযোগে আরও এক জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।