মোটরবাইকে নজর কাটোয়ায়

জরিমানার নামে টাকা আদায়ের অভিযোগ উঠেছিল আগের দিন। কাটোয়ার স্টেশনবাজার চৌরাস্তার মোড়ে শনিবার সে নিয়ে ক্ষোভ-বিক্ষোভও দেখিয়েছিলেন মোটরবাইক আরোহীরা। রবিবার সেই মোড়ে চলল পুলিশের কড়া নজরদারি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কাটোয়া শেষ আপডেট: ০৫ নভেম্বর ২০১৮ ০৪:৫৪
Share:

চলছে মোটরবাইকের নথি যাচাই। নিজস্ব চিত্র

জরিমানার নামে টাকা আদায়ের অভিযোগ উঠেছিল আগের দিন। কাটোয়ার স্টেশনবাজার চৌরাস্তার মোড়ে শনিবার সে নিয়ে ক্ষোভ-বিক্ষোভও দেখিয়েছিলেন মোটরবাইক আরোহীরা। রবিবার সেই মোড়ে চলল পুলিশের কড়া নজরদারি। যাচাই করা হল প্রত্যেক মোটরবাইক আরোহীর নথিপত্র। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার বিক্ষোভের সময়ে সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে কয়েকজন মোটরবাইক চালকের বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা করা হয়েছে।

Advertisement

শনিবার দুপুরে ওই মোড়ে মোটরবাইকের নথিপত্র চাওয়ার নামে ট্র্যাফিক পুলিশ হেনস্থা করেছে, অভিযোগ করেন কেতুগ্রামের বড়মালিহার বাসিন্দা মানব ঘোষ। এর পরেই আরও কয়েকজন বাইক আরোহী জড়ো হয়ে জরিমানার নামে পুলিশ হেনস্থা করে বলে অভিযোগ তোলেন। পুরপ্রধান রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় সেখানে গেলে তাঁর কাছেও ক্ষোভের কথা জানান তাঁরা। পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখানো হয়।

রবিবার সকাল থেকেই ওই মোড়ে টহল দেন পুলিশের কর্তারা। ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) রাজনারায়ণ মুখোপাধ্যায়, এসডিপিও (কাটোয়া) ত্রিদিব সরকার। পুলিশ জানায়, এ দিন শ’খানেক মোটরবাইকের নথি যাচাই করা হয়। তার মধ্যে উপযুক্ত নথি দেখাতে না পারায় ৪০ জনকে জরিমানা করা হয়। তাঁদের কারও হেলমেট ছিল না, কারও লাইসেন্স-সহ নানা কাগজপত্রে ত্রুটি রয়েছে। মহকুমা পুলিশের তরফে মাইকে উপযুক্ত নথি ও হেলমেট-সহ মোটরবাইক চালানো, শহরের ভিতরে ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটারের বেশি গতিতে না চালানো, যত্রতত্র মোটরবাইক না রাখা-সহ নানা বিষয়ে সচেতন করা হয়।

Advertisement

পুলিশের কড়াকড়িতে অবশ্য তাঁদের সমস্যা হচ্ছে বলে দাবি করেছেন ব্যবসায়ীরা। কাটোয়া ব্যবসায়ী সমিতির মুখপাত্র বিদ্যুৎ নন্দীর কথায়, ‘‘জলট্যাঙ্ক বা খাসি মার্কেটে মোটরবাইক দাঁড় করিয়ে কাছারি রোড বা স্টেশনবাজারে বাজার করতে চাইছেন না ক্রেতারা। তাতে বিক্রিবাটা কমছে। প্রশাসন প্রয়োজনে পার্কিং জোনের সংখ্যা বাড়াক।’’ ধরপাকড়ের ভয়ে মোটরবাইক আরোহীদের অনেককে এ দিন বাইপাস দিয়ে ঘুরে যাতায়াত করতে দেখা গিয়েছে।

শনিবারের ঘটনায় কয়েকজনের বিরুদ্ধে পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার মামলা রুজু করা হয়েছে বলে কাটোয়া থানা সূত্রে জানা গিয়েছে। তবে রবিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি। এই বিষয়টি নিয়ে অবশ্য পুলিশের কর্তারা কেউ মুখ খুলতে চাননি। পুরপ্রধান রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘কী অভিযোগ হয়েছে জানি না। খোঁজ নিয়ে দেখব।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement