গঙ্গাকিশোরের স্মৃতিসৌধ। নিজস্ব চিত্র
‘বাঙ্গাল গেজেটি’র প্রকাশের দুশো বছর উপলক্ষে সম্পাদক গঙ্গাকিশোর ভট্টাচার্যের জন্মস্থান পূর্বস্থলীর বহরা গ্রামে জমি চিহ্নিত করে জাদুঘর তৈরির পরিকল্পনা নিল কালনা মহকুমা প্রশাসন। বিষয়টি নিয়ে বৈঠক করে পর্যটন দফতরের কাছে রিপোর্ট পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন মহকুমাশাসক নীতিন সিংহানিয়া।
সম্প্রতি কালনার বুদ্ধিজীবী মহল এবং বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ গঙ্গাকিশোরের জন্মভিটেটি সংরক্ষণের বিষয়ে প্রশাসনের উদাসীনতার অভিযোগ করেন। সংরক্ষণের বিষয়ে প্রশাসনের কাছে আবেদন জানান এলাকার সাংবাদিকদের একাংশও।
এর পরেই মহকুমা প্রশাসন খোঁজ নিয়ে জানতে পারে, গঙ্গাকিশোরের নামে এলাকায় কোনও জমি নথিভুক্ত নেই। বিষয়টি নিয়ে ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতর মহকুমাশাসককে একটি রিপোর্ট পাঠায়। সেখানে বলা হয়, গ্রামের দু’টি জায়গার কোনও মালিকানা নেই সরকারি নথিতে। এর মধ্যে ৩৮৭ দাগে ২০ ডেসিবল জমি রয়েছে। যার মধ্যে ১ ডেসিবলের মালিক স্থানীয় এক জন। বাকি ১৯ ডেসিবলের কোনও মালিকানা নেই। এ ছাড়া ৩৭৬ দাগে রয়েছে ৭৯ ডেসিবল জমি। তবে স্থানীয় সূত্রে ভুমি ও ভূমি সংস্কার দফতর জানতে পারে, এর মধ্যে ১৬.৫ ডেসিবল জমি বসনারানি পাল নামে এক জন গঙ্গাকিশোরের স্মৃতির উদ্দেশ্যে দান করেছিলেন। গঙ্গাকিশোরের স্মৃতিফলকেও রয়েছে বসনারানির নাম।
মহকুমা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্পত্তির মালিকানা না থাকলে তা বিজ্ঞপ্তি জারি করে ছ’মাসের মধ্যে দাবিদারদের যোগাযোগ করতে হলা হয়। নীতিনবাবু জানান, সরকারি ভাবে বহরা গ্রামে ওই সম্পত্তি গ্রহণের কাজ শুরু হয়েছে।