মামরা বাজারের একটি মিষ্টির দোকান থেকে বিনামূল্যে রসগোল্লা খাওয়ানো হচ্ছে। নিজস্ব চিত্র
‘রসগোল্লা দিবস’ পালিত হল দুর্গাপুর। সোমবার এই দিনটি উপলক্ষে দুর্গাপুরের মামরা বাজারের একটি মিষ্টির দোকান বিনামূল্যে রসগোল্লা খাওয়ানোর ব্যবস্থা করে। পথচলতি অনেকেই দোকানে দাঁড়িয়ে মিষ্টি খান। গত পাঁচ বছর ধরে দিনটি এ ভাবে পালিত হয়ে আসছে বলে জানালেন দোকান মালিক দেবাশিস ঘোষ।
‘পশ্চিমবঙ্গ মিষ্টান্ন ব্যবসায়ী সমিতি’ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৭-র ১৪ নভেম্বর বাংলার রসগোল্লা ‘জিওগ্রাফিক্যাল ইন্ডিকেশন’ বা জিআই স্বীকৃতি পায়। তাঁর দাবি, তার আগে ওড়িশার সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে লড়াই চলছিল। তারপর থেকে প্রতি বছর ১৪ নভেম্বর দিনটি ‘রসগোল্লা দিবস’ হিসেবে পালন করা হয় রাজ্য জুড়ে। দুর্গাপুরের মামরা বাজারের ওই মিষ্টির দোকানে দিনটি উপলক্ষে বিনামূল্যে বিভিন্ন ধরনের রসগোল্লা খাওয়ানোর ব্যবস্থা করা হয়। স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী থেকে শুরু করে বয়স্ক, দোকানের সামনে মিষ্টি খেতে দেখা গিয়েছে সবাইকেই।
দোকানে গিয়ে দেখা যায়, সাদা, সবুজ, হলুদ, কমলা প্রভৃতি নানা রঙের রসগোল্লা সাজানো রয়েছে। বিশেষ আকর্ষণ ‘কাঁচা বাদাম রসগোল্লা’। দোকান মালিক দেবাশিস জানান, মোট প্রায় ৩০ রকম মিষ্টি রয়েছে দোকানে। সকাল ৯টা থেকে রসগোল্লা খাওয়ানো শুরু হয় বলে জানান তিনি। বলেন, “ওড়িশার সঙ্গে লড়াইয়ে জয়ী হয় আমাদের রাজ্য। দিনটি সব মিষ্টি ব্যবসায়ীর কাছে বিশেষ দিন।”
সহপাঠীদের নিয়ে রসগোল্লা খাচ্ছিল নবম শ্রেণির ছাত্রী অদ্রিজা পাল। বলে, “রসগোল্লা দিবসে রসগোল্লা খাওয়ার এমন সুযোগ ছাড়ে নাকি!” আনাজ বাজার করতে এসেছিলেন এবিএল এলাকার বাসিন্দা বিশ্বনাথ দাস। তিনি বলেন, “বিনামূল্যে রসগোল্লা আমিও চেখে দেখলাম।”