সাতগেছিয়ায় অবরোধ। নিজস্ব চিত্র
ভারত জাকাত মাঝি পারগানা মহলের ডাকে রাজ্য জুড়ে ‘চাক্কা জ্যামে’ নাকাল হলেন সাধারণ মানুষ। জেলার একাধিক গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় বুধবার ১২ ঘণ্টার অবরোধ চলে। যান চলাচল ব্যহত হয়। অনেক বাস অন্য রুট দিয়ে ঘুরে যায়। যদিও জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত গাড়িগুলিকে ছাড় দেওয়া হয়েছে বলে আন্দোলনকারীদের দাবি।
এ দিন সংগঠনের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটির ডাকে ন’দফা দাবি জানানো হয়। সাঁওতালি শিক্ষা বোর্ড গঠন, সাঁওতালি ভাষার শিক্ষক নিয়োগ, বন্ধ হয়ে পড়ে থাকা আদিবাসী হোস্টেল চালু করার মতো বিষয় নিয়ে সরব হন আন্দোলনকারীরা। কর্মসূচিতে ছিলেন সংগঠনের রাজ্য ও জেলার আহ্বায়ক ওপেল মান্ডি ও জয়দেব মান্ডি, আউশগ্রামের নেতা নরেন হেমব্রম, ভাতারের নেতা সুনীল কিস্কুরা।
সকাল ৬টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত বর্ধমান-আরামবাগ রোডের বাঁকুড়া মোড়, বর্ধমান-বোলপুর ২বি জাতীয় সড়কের গুসকরার বলগনা মোড়, বর্ধমান-কালনা রোডের সাতগেছিয়ায় অবরোধ চলে। নিত্যযাত্রীদের দাবি, বর্ধমান-বাঁকুড়া রুটের গাড়িগুলি খণ্ডঘোষের শালুন থেকে ঘুরিয়ে দেয় পুলিশ। বাসগুলি শালুন গ্রামের ভিতর দিয়ে দামোদরের চর হয়ে সদরঘাটে পৌঁছয়। অন্য দিকে, বর্ধমান আরামবাগ রুটের বাসগুলি রায়নার বেলসর, শ্যামসুন্দর হয়ে চলাচল করে। সগড়াই ব্লক অফিসের কর্মী স্বপন দত্ত, শেখ ওয়াসিম আলিরা বলেন, ‘‘অবরোধ এবং বাস অন্য রাস্তা দিয়ে আসায় অফিস পৌঁছতে ঘণ্টাখানেক দেরি হয়ে যায়।’’ বাঁকুড়ার পাত্রসায়র থেকে বর্ধমানে কাজে আসা বাবু রায়ও জানান, অন্য রাস্তা দিয়ে আসায় পৌঁছতে দেরি হয়েছে।
বর্ধমান বোলপুর ২বি জাতীয় সড়কের গুসকরার বলগনা মোড়েও সকাল সাড়ে ৬টা থেকে অবরোধ শুরু হয়। গুসকরা থেকে বর্ধমান, ভাতার, মালডাঙার রুটের যাত্রিবাহী বাস চলাচল বন্ধ থাকে। গুসকরার বলগোনা মোড়েও অবরোধ হয়। যানজট রুখতে বর্ধমান বোলপুর ২বি জাতীয় সড়ক ধরে যাওয়া যানবাহ গুলিকে বিভিন্ন লিঙ্ক রোড দিয়ে ঘুরিয়ে দেয় পুলিশ। স্কুল মোড়, নদীপটি মোড়, আউশগ্রামের ভেদিয়া, ভাতারের ওরগ্রামে রাস্তার উপরে ব্যারিকেড লাগিয়ে পুলিশ গাড়িগুলিকে সংশ্লিষ্ট লিঙ্ক রোড দিয়ে পাঠিয়ে দেয়। জেলা পুলিশের ডিএসপি (ক্রাইম) শাশ্বতী শ্বেতা সামন্ত বলেন, ‘‘অ্যাম্বুল্যান্স, স্কুলের মতো আপদকালীন সব পরিষেবা চালু ছিল। কিছু যাত্রিবাহী যানবাহন বিকল্প রাস্তা দিয়ে ঘোরানো হয়। কোনও অশান্তি হয়নি।’’