আবাহনেই বাজে দুর্গাপুজোর বিসর্জনের বাজনা। মহালয়া তিথিতে এমন ব্যতিক্রমী দুর্গাপুজোয় মেতে ওঠেন আসানসোলের বার্নপুরের ধেনুয়া গ্রামের বাসিন্দারা।
সপ্তমী থেকে দশমীর পুজো হয় একই দিনে। একই দিনে বিসর্জন। মহালয়া তিথিতে এমনই এক ব্যতিক্রমী দুর্গাপুজোয় মেতে ওঠেন আসানসোলের বার্নপুরের ধেনুয়া গ্রামের বাসিন্দারা। বিশেষজ্ঞদের মতে, এ রাজ্যে এমন দুর্গাপুজো দেখা যায় না তেমন। তবে অসমে এমন পুজোর চল আছে। ধেনুয়া গ্রামে কালীকৃষ্ণ মহামায়া যোগ আশ্রম। দামোদর নদীর ধারে এই মনোরম আশ্রমে ১৯৭৮ সাল থেকে চলে আসছে এই পুজো।
সকালে নবপত্রিকাকে স্নান করিয়ে নিয়ে আসা হয় মন্দির চত্বরে। তার পর ঘট স্থাপন করে সপ্তমী, অষ্টমী, সন্ধিপুজো, নবমী এবং দশমীর পুজো হয়। তা চলে বিকেল পর্যন্ত। তার পর বিসর্জন করা হয় ঘট। শুধু আসানসোল নয়, আশেপাশের গ্রাম এবং জেলা থেকে এখানে সমাগম ঘটে বহু মানুষের। দুপুরে ভোগ খাওয়া হয় একসঙ্গে। এই মন্দিরের প্রতিমাও ব্যতিক্রমী। দুর্গা প্রতিমার সঙ্গে থাকে না লক্ষ্মী, সরস্বতী, গণেশ এবং কার্তিক। এখানে দুর্গা মহিষমর্দিনী নন। তাই প্রতিমার মুখশ্রী স্নিগ্ধ। দেবীর সঙ্গে এখানে দেখা যায় তাঁর দুই সখী জয়া এবং বিজয়াকে। এই পুজো ‘আগমনী পুজো’ হিসাবেই পরিচিত এলাকায়।