কুলতড়ায়। নিজস্ব চিত্র
সপ্তাহের প্রথম ‘লকডাউন’-এর মতো দ্বিতীয় লকডাউনের দিন শনিবারেও নাগরিক অসচেতনতার ছবি দেখা গিয়েছে জেলার নানা প্রান্তে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এ দিন সকাল ১০টায় সীতারামপুর স্টেশন রোডে কার্যালয় খুলে বসেন আসানসোল পুরসভার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর অমিত তুলসীয়ান। সেখানে ঠাসাঠাসি ভিড় হয়। তবে কিছুক্ষণ পরেই অমিতবাবু বলেন, ‘‘কার্যালয় খোলাটা ঠিক হয়নি। এখনই বন্ধ করে দিচ্ছি।’’ কিছুক্ষণ পরে কার্যালয়টি বন্ধও করে দেওয়া হয়।
সীতারামপুর স্টেশন লাগোয়া আনাজ ও মাছের বাজার, কুলটির থানা মোড়ে ঠেলায় করে আনাজ বিক্রি, কুলতড়ায় জিটি রোডের ধারে মাংস বিক্রি, চিনাকুড়ি রেল ইয়ার্ড ধেমোমেন কোলিয়ারি লাগোয়া এলাকায় ‘প্রাত্যহিক লটারি’র টিকিট বিক্রি চলেছে। যত্রতত্র গাছের তলায়, গুমটি, অলিগলিতে জটলা দেখা গিয়েছে ধেমোমেন কোলিয়ারি লাগোয়া এলাকায়। এ ছাড়া, চিনাকুড়ি দু’নম্বর এলাকা, বড়ধেমো গ্রামে পাড়ার ভিতরে খোলা ছিল একাধিক দোকান। নজরে পড়েছে জটলাও।
বৃহস্পতিবার আসানসোলের মহিশীলায় বটতলা বাজারের কিছু দোকান আংশিক খুলে রাখায় স্থানীয়দের একাংশ ক্ষোভপ্রকাশ করেছিলেন। শনিবারেও সকালের দিকে কয়েকটি দোকান খোলার চেষ্টা করা হয়। তবে এলাকার বাসিন্দারাই প্রতিবাদ করে দোকান বন্ধ করান। তবে এ দিনও আসানসোলের রেলপাড়ের সফি মোড়ের ছবিটা খুব একটা বদলায়নি। এ দিন স্থানীয় দোকানদারদের একাংশ লকডাউনের নির্দেশ অমান্য করে দোকানের ঝাঁপ খোলেন বলে অভিযোগ।
কিন্তু কড়া পুলিশি নজরদারির মধ্যেও কেন এই পরিস্থিতি? আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কর্তাদের একাংশ জানান, শহরের এমন কিছু এলাকা আছে, যেখানে নিতান্ত প্রয়োজন ছাড়া, পুলিশের গাড়ি ঢোকে না। এই ‘সুযোগে’ মূলত সেই সব পাড়া-গলিতে দোকান খুলে রাখা বা জটলার ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি নিয়ে ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য সৈকত বসু বলেন, ‘‘খাতায়-কলমে লকডাউন হল। কিন্তু কিছু এলাকায় দোকান-বাজার খোলা থাকল। মানুষও রাস্তায় বেরোলেন। ফলে, কতটা কী লাভ হল, জানি না। পরিস্থিতির মোকাবিলায় সব থেকে জরুরি নাগরিক সচেতনতা।’’