হিন্দুস্তান কেব্‌লস
Hindustan Cables

কারখানার জমিতে শিল্প চেয়ে বিক্ষোভ

বছর তিনেক আগে বন্ধ হয়ে গিয়েছে টেলিফোনের কেব্‌ল তৈরির এই রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

রূপনারায়ণপুর শেষ আপডেট: ১৩ জুলাই ২০২০ ২৩:৩৮
Share:

চলছে অবস্থান। নিজস্ব চিত্র

বন্ধ পড়ে থাকা হিন্দুস্তান কেব্‌লস কারখানার জমিতে শিল্পই গড়তে হবে, এই দাবিতে সোমবার পস্চিম বর্ধমানের রূপনারায়ণপুরে কারখানার গেটে বিক্ষোভ-অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন ‘কেব্‌লস পুনর্বাসন কমিটি’র কয়েকশো সদস্য-সমর্থক। সেই সঙ্গে সংস্থার ঠিকা শ্রমিকদের বকেয়া বেতন মেটানোর দাবিও জানানো হয়। বিক্ষোভের নেতৃত্ব দেন বারাবনির তৃণমূল বিধায়ক বিধান উপাধ্যায়। কর্মসূচি শেষে কারখানা কর্তৃপক্ষকে স্মারকলিপি দেওয়া হয়।

Advertisement

সংস্থার প্রধান স্বরূপ চক্রবর্তী এ দিন উপস্থিত ছিলেন না। তাঁর সহকারী আরএন ঝা দাবিপত্র গ্রহণ করেন। তিনি বলেন, ‘‘দাবিপত্র কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।’’

বছর তিনেক আগে বন্ধ হয়ে গিয়েছে টেলিফোনের কেব্‌ল তৈরির এই রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা। এর পরেই কারখানার প্রাক্তন শ্রমিক-কর্মী থেকে কেব্‌লসের জমি লিজ় নিয়ে ব্যবসা করা দোকানদারেরা ‘পুনর্বাসন কমিটি’ গড়ে আন্দোলন চালিয়ে আসছেন। বিধায়ক বিধানবাবুর দাবি, বন্ধ পড়ে থাকা কারখানার জমিতে নতুন করে শিল্প গড়তে হবে। তবেই স্থানীয় বেকার যুবক-যুবতীরা চাকরি পাবেন, এলাকার অর্থনীতিও বেঁচে থাকবে।

Advertisement

বিধায়কের অভিযোগ, ‘‘খবর পেয়েছি শিল্প না গড়ে এই জমি অন্য কাজে ব্যবহার করতে চাইছে কেন্দ্রীয় সরকার। আমরা তা হতে দেব না। বিষয়টি বিধানসভার অধিবেশনেও তুলেছি।’’ বিধায়কের আরও অভিযোগ, কারখানা বন্ধ হওয়ার সময়ে সংস্থায় কর্মরত প্রায় তিনশো ঠিকা শ্রমিকের আট মাসের বেতন বকেয়া ছিল। স্থায়ী শ্রমিক-কর্মীদের সমস্ত পাওনা মেটানো হলেও ঠিকা শ্রমিকদের বকেয়া এখনও মেটানো হয়নি। অবিলম্বে তা মেটাতে হবে বলে এ দিন দাবি জানানো হয়।

‘কেব্‌লস পুনর্বাসন কমিটি’র কার্যকরী সম্পাদক সুভাষ মহাজন বলেন, ‘‘বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে থাকা কেব্‌লসের আবাসন এলাকায় শ্রমিক-কর্মীদের সুবিধার জন্য প্রায় সাতটি বাজার গড়ে দিয়েছিলেন সংস্থা কর্তৃপক্ষ। সেখানে জল-বিদ্যুতের সংযোগ-সহ যাবতীয় পরিকাঠামোও ছিল। এলাকার বেকার যুবকেরা এককালীন টাকা জমা দিয়ে বাজারের দোকানঘর লিজ় নেন।’’ তাঁর অভিযোগ, কারখানা বন্ধ হওয়ার পরেই বাজারের জল, বিদ্যুতের সংযোগ কেটে দেওয়া হয়েছে। ফলে, বিপাকে পড়েছেন দোকান মালিকেরা। অনেকেই দোকান বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছেন বলে দাবি। বাজারগুলিতে আগের মতো পরিকাঠামো গড়ে দেওয়া বা দোকান মালিকদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করার দাবি জানিয়েছেন সুভাষবাবু।

পুনর্বাসন কমিটির অভিযোগ প্রসঙ্গে কোনও মন্তব্য করতে চাননি আরএন ঝা। তবে সংস্থার একটি সূত্রে দাবি করা হয়েছে, কারখানা বন্ধ করার ঘোষণার সময়ে স্থায়ী শ্রমিক-কর্মীদের পাওনা মেটানো হয়েছে। কিন্তু ঠিকা শ্রমিকদের দায়িত্ব কারখানা কর্তৃপক্ষের ছিল না। ফলে, তাঁদের পাওনা মেটানোর দাবি ‘সঙ্গত’ নয়। কারখানার জমিতে শিল্প গড়া ও সংস্থার বাজারগুলির দোকান মালিকদের পুনর্বাসনের বিষয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement